বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আদালতে আজ মঙ্গলবার ৪র্থ বারের মতো নিহত রূপার বড়ভাই হাফিজুর রহমানসহ ৩জন জব্দ তালিকার সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এনিয়ে মামলার বাদীসহ ১২ জন আদালতে সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো।
টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর ১২ টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। নিহত রূপার ভাই হাফিজুর রহমান আদালতের সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে সাক্ষ্য প্রদানকালে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীরা তার কান্না দেখে আবেগময় হয়ে পড়ে। পরে আসামী পক্ষ থেকে আইনজীবীরা তাকে প্রায় ১ ঘণ্টা জেরা করে। পরে মামলার সাক্ষী আব্দুল বারেক ও মমতাজ উদ্দিন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাদের বেলা সোয়া দু’টায় এই জেরা সম্পন্ন করেন। মামলা দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বিচারক আগামী রবিবার ১৪ জানুয়ারি মামলার ৫ আসামীদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডকারি চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।
৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াস উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।