পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম (শীতকালীন) অধিবেশন শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অধিবেশন চলবে।
অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। সকাল থেকেই চারপাশে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সংসদ ভবনে প্রবেশ নিয়েও ছিল কঠোর কড়াকড়ি। সংসদ পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সংবিধানের বিধান অনুযায়ী অধিবেশনে প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন।
প্রেসিডেন্টের প্রদত্ত ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে অধিবেশনজুড়ে সাধারণ আলোচনা হবে। সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা ৪৫ ঘণ্টা আলোচনা করবেন। প্রয়োজনে স্পিকার এ সময়সীমা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটায় অধিবেশন শুরু হবে। তবে প্রতি শুক্রবার, শনিবার, সরকারি ছুটির দিন ছাড়াও আজ ৮ জানুয়ারি এবং আগামী ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন মুলতবি থাকবে। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াতকে ছাড়াই এই সংসদ যাত্রা শুরু করে। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিগত অধিবেশনগুলোর মতো তাদের সবর উপস্থিতি ছিল। আর বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনেও সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজুলে রাব্বী মিয়া, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, রাশেদ খান মেনন এবং চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
এদিকে অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য তিনি পাঁচ সদস্যের সভাপতিমন্ডলীর নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন- কর্নেল (অব.) ফারুক খান, পঞ্চানন বিশ্বাস, বি এম মোজাম্মেল হক, মো. ফখরুল ইমাম ও বেগম সায়েরা মহসিন। পরে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। শোকপ্রস্তাব গ্রহণ শেষে সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক এবং গোলাম মোস্তফা আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু সময়ের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
মুলতবি শেষে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি স্পিকারের পাশে নির্ধারিত ডায়াসে দাঁড়িয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভাষণ দেন। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-সাফল্যে ও দেশের অগ্রগতির বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্টের ভাষণের সময় মুহুমুর্হু টেবিল চাপড়িয়ে প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।