পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনদূর্ভোগের কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা করতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে বেছে নিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গত কয়েক বছর ধরেই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন শোভাযাত্রা করায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ঢাকা শহরের মানুষকে। সেজন্য জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দুদিন পিছিয়ে ছুটির দিনে আনন্দ শোভাযাত্রা করে ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার বেলা ১২টা দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এই আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উদ্বোধনী বক্তব্যের পরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস ভবন, কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর, পল্টন মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং রাজধানীতে অবস্থিত ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন থেকে ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ৪ জানুয়ারি শোভাযাত্রা না করে কেক কেটে আর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ছাত্রলীগ।
ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান শোভাযাত্রার উদ্বোধনী প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকে ছাত্রলীগের র্যালি, আমাদের নেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ছাত্রলীগের ইতিহাসে এবারই প্রথম ৪ জানুয়ারি র্যালির পরিবর্তে ৬ জানুয়ারি হচ্ছে। ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ, জনগণের দুর্ভোগ, ভোগান্তি যাতে সহনীয় মাত্রায় থাকে সেকারণে তারা ৪ জানুয়ারি র্যালির পরিবর্তে ছুটির দিন শনিবারে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে।
৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ছুটির দিন শোভাযাত্রা করায় ছাত্রলীগ বাংলাদেশে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মন্তব্য করে কাদের বলেন, অন্যান্য রাজনীতিক ছাত্র সংগঠনের জন্য, সবার প্রতি এটা উদাহরণ; এভাবে অন্যরা কিন্তু করছে না। অন্যদের কাছেও আশা করব-এই বিষয়টি জনস্বার্থে অনুসরণ করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম, বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত সিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ; সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, অজয় কর খোকন ও মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সসহ সংগঠনের বর্তমান- সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ অন্যরা।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় এবং শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
ছাত্রলীগের র্যালী, রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালীকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার র্যালীতে অংশ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করলে এ যানজট সৃষ্টি হয়।
দেখা যায়, রাজধানীর বাংলামটর থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে পল্টন মোড় এবং কাকরাইল থেকে মৎস্য ভবন মোড় হয়ে পল্টন পর্যন্ত যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। আর এসব সড়কের যানজটের প্রভাবে সাতরাস্তা মোড় থেকে শুরু হওয়া মগবাজার ফ্লাইওভারেও চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় সকল ধরণের যান স্থবির হয়ে থাকে। সকাল থেকেই এসব সড়কে যানজট তৈরি হতে থাকে। শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, পল্টন থেকে বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল, মালিবাগ থেকে রামপুরা, বাংলামটর থেকে মালিবাগ, কাকরাইল থেকে মগবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এ যানজটের কবলে পড়ে। এ সময় ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। তবে মিছিলের কারণে কোথাও কোন ধরনের গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি।
র্যালীতে অংশ নিতে সকাল থেকেই সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ জড়ো হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসে। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, রং-বেরংরের পোশাক, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে আসে।
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে র্যালি করা হলেও বাস, মিনিবাস, টেম্পু, প্রাইভেটকারের হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।