পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও জঙ্গি দমনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হলেও মাদক ও জঙ্গি নির্মূলে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
গতকাল শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কথা বলেন। পাঁচ বছর বাংলাদেশ পুলিশের দায়িত্বে থাকা এ শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন ‘মাদক নির্মূল করতে পারিনি, জঙ্গিও নির্মূল করতে পারিনি। কারণ দুটোই অ্যাডিকশন (আসক্তি)। শহীদুল হক বলেন, কক্সবাজার এলাকায় এত বড় সীমান্ত। ওই সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে ইয়াবার চালান আসে। আমরা ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে ক্রমান্বয়ে উন্নতি করছি। সাগরে অনেক জেলে মাছ ধরতে যায়। তাদের মাধ্যমে মাছের পেটে করেও ইয়াবার চালান আসে। এছাড়া আরো বিভিন্ন কৌশলে মাদক আসছে। এসব বন্ধ করা কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, গত এক বছরে মাদকসংক্রান্ত ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৪টি মামলা হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার গ্রেফতার হয়েছেন । তিনি বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে পুলিশ দিয়ে মাদক ঠেকানো সম্ভব নয়। মাদক নির্মূলে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী কৌশল নিয়ে সামনে এগুচ্ছি।
আইজিপি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যেন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজরদারি রয়েছে। কেউ জড়িত হলে সাধারণ মানুষের মতোই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,কী পরিমান পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে পরিসংখ্যানটা এ মূহুর্তে মনে নেই, তবে সেই সংখ্যাটা খুবই কম।
গত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভাল উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মাধ্যমে নতুন করে জঙ্গিবাদের যে উত্থান হয়েছিল, এরপর পুলিশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে।
২০১৭ সালে পুলিশের অভিযানের সময় ৫৭ জন জঙ্গি সুইসাইডাল ভেস্টে আত্মাহুতি দিয়েছে। একশর বেশি জঙ্গি গ্রেফতার করা হয়েছে। এক বছরে সারা দেশে ৩৫টি জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জঙ্গি দমনে পুলিশের অর্জন শুধু দেশেই নয় বিশ্বেও প্রশংসিত হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য ট্রেডিশনাল অপরাধ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৮১ হাজার ১৬৮টি মামলা দায়ের হয়েছে, ২০১৭ সালে সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫২৯টিতে। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের হার বেড়ে যাওয়ায় মামলার পরিমাণ বেড়েছে। পুলিশের সক্ষমতা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে এসব উদ্ধার বেড়েছে। উদ্ধারের পরিমাণ বাদ দিলে ট্রেডিশনাল ক্রাইম তুলনামূলক কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।