পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগকে ভাঙা কলসি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এরা এখন ভাঙা কলসি হয়ে গেছে। আর ভাঙা কলসিই বাজে বেশী। ভয় দেখিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, জনগণের বিরুদ্ধে বন্দুক ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার মজাতে জনগণের কথার আওয়াজ তাদের কানে ঢোকে না। গতকাল (শনিবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, অতি ক্ষমতা, অতি দম্ভ, অতি দুর্নীতি, অতি নিপীড়ন-নির্যাতন, অতি অস্ত্রের আস্ফালন এবং অতি মিথ্যাচারে আপনারা অতিকায় ডাইনোসরে পরিণত হয়েছেন। আপনারা প্রাণীকূল থেকে অতি শিগগিরই অবলুপ্ত হয়ে যাবেন। তিনি ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের কথা বলা আপনাদের জন্য হবে অরণ্যে রোদন। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে মানুষের ভোটাধিকার যে আবারো ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির মতোই কবরস্থানে চলে যাবে তা দেশবাসী খুব ভাল করেই জানে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পরিণতি কী হবে এটা অনুধাবণ করেই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হুমকি আর ধমকের পথ অবলম্বন করেছেন। ক্ষমতার মসনদে অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষমতার নেশায় উন্মার্গগামী হয়েছেন। এজন্য ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শেখ হাসিনার অন্ধ স্তাবকে পরিণত হয়েছেন। যারা ইতিহাসের সত্যকে অস্বীকার করে তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের বীজ রোপন করে। ভোটারবিহীন সরকারের লোকেরা ৫ জানুয়ারি কলঙ্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় আসীন থেকে শেষ সময়ে আবারো অবৈধ পথে ক্ষমতায় যেতে নানা মতলববাজী কথাবার্তা বলছেন।
“সময় ও ¯্রােত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও বিএনপি’র জন্য অপেক্ষা করবে না। সংবিধান অনুয়ায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনাদের ঠেকানোর সাধ্য থাকলে দেখান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ আপনাদের প্রতিহত করবে। ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তেব্যে বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের এসব ফাঁকা বুলি দিয়ে নিজের পদকে নিরাপদকে করছেন। কাদের সাহেব আপনি ঠিকই বলেছেন সময় ও ¯্রােত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। কাদের সাহেব, দু:শাসন বিদায়ের সময় চলে এসেছে। প্রতিবাদী জনগোষ্ঠী আজ লুটেরাদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠেছে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে পেতে সোচ্চার হয়েছে। নিত্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে দিশেহারা জাতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে জীবনবাজী রেখে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আরেকটি ৫ জানুয়ারির মতো কলঙ্কিত নির্বাচন জনগণই প্রতিহত করবে, প্রতিরোধ করবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। মানুষ বিএনপিকে প্রতিহত নয়, প্রতিহত করবে মানুষের ভোটাধিকার হরণকারীদের, গণতন্ত্র হত্যাকারীদের। দেশের যে বারোটা আপনারা বাজিয়েছেন, ধাপ্পাবাজি, চাপাবাজি করে আর পার পাওয়া যাবে না। আপনারা চারিদিক থেকে যে চ্যালেঞ্জে পড়েছেন তা মোকাবেলা করার ক্ষমতা আপনাদের নেই। তাই আপনারা হাতে মৃত্যুর দÐাজ্ঞা নিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে চান। কিন্তু বারবার সেই সুযোগ আপনাদের আসবে না। ২০১৮ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়বে মানুষের ঘরে ঘরে। জনগণের অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগ আর বলপ্রয়োগে প্রতিহত করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনের সময় ময়মনসিংহ, বান্দরবন, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকার কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। রিজভী বলেন, ঢাকায় সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলায় ১০ জনের বেশি নেতা-কর্মী আহত হন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ। #####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।