নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মর্তুজার অবদান যে অনস্বীকার্য একথা হয়তো তার শত্রুও স্বীকার করতে বাধ্য। যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে প্রেরণা যোগানোর জন্য মাশরাফির জুড়ি মেলা ভার। একজন পরিপূর্ণ নেতা হিসেবে দলের সকলের খারাপ কিংবা ভালো সময়ে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগান ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক। আর এই কারণেই তাসকিন আহমেদ, মুস্তফিজুর রহমানদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা মাশরাফি বলতে প্রায় অজ্ঞান। মাশরাফির প্রশংসায় তাই পঞ্চমুখ দলের প্রায় সকল ক্রিকেটারই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর হতে চললো ইমরুল কায়েসের। এখনও বাঁহাতি ওপেনার পায়ের নিচের মাটি খুঁজে ফিরছেন। তার বাজে সময়ে সব সময়ই পাশে থেকেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। নেতা হিসেবে তাই ম্যাশকেই সেরা মানছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই ওপেনার। আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। গতকাল সেই অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইমরুল জানিয়েছেন দলকে মোটিভেশন এনে দেয়ার ক্ষেত্রে মাশরাফির বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি বাংলাদেশে, ‘মাশরাফি ভাই সব সময় মোটিভেট করার জন্য তাতিয়ে দেওয়ার মতো কথা বলে, নেতা হিসেবে তিনি সেরা। কেউ ভালো করুক, খারাপ করুক পাশে থাকেন।’
মাশরাফির পাশাপাশি অবশ্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের প্রশংসা করতেও ভোলেননি টাইগার এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। সাকিবের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তার অভিজ্ঞতার ভান্ডার তরুণদের সাথে শেয়ার করেন যা তাদের জন্য সাফল্যের পাথেয় হিসেবে কাজ করে বলে অভিমত ইমরুলের, ‘সাকিব অনেক অভিজ্ঞ। বাইরে খেলে তার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করে কি করলে বেটার হয়। আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ও উঠতি খেলোয়াড়দের জন্য ইতিবাচক।’
নিজের ব্যাটিং এবং দলে জায়গা পাওয়ার বিষয় নিয়েও এদিন কথা বলেছেন ইমরুল। দলে থাকার বিষয়টি নিয়ে খুব একটা না ভেবে বরং নিজের ব্যাটিংয়ের প্রতিই বেশি মনোযোগী হতে চান ৩০ বছর বয়সী এই টাইগার ওপেনার। বললেন, ‘না এইগুলা নিয়ে চিন্তা করি না। আর যতদিন খেলব নিজের ব্যাটিং নিয়েই কাজ করতে হবে। কারণ কোন ব্যাটসম্যানই তার পারফেকশনের জায়গায় যেতে পারে না। কাজেই যতদিন খেলতে হয় কাজ করতে হবে।’
বাংলাদেশের গত বছরটি শেষ হয়েছে হতাশার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে। সেই সিরিজে একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ দল। তবে সেসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে নারাজ ইমরুল। নতুন বছরটি নতুন ভাবে শুরু করার প্রত্যয়ই ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে। বললেন, ‘দেখুন যেটা হয়ে গেছে চিন্তা করে লাভ নাই। যেটা অতীত সেটা অতীতেই থেকে গেছে। সামনের দিকে যে সিরিজগুলো আছে ওইটা নিয়ে ফোকাস করা বেটার। এইগুলা নিয়ে চিন্তা করলে আমাদের জন্য ভাল।’
আর কিছুদিন পরেই ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে অবশ্য নিজেদেরকেই ফেভারিট হিসেবে দেখছেন ইমরুল কায়েস। তবে মুখে নয়, কাজে বিশ্বাসী তিনি, ‘সবাই জানে আমাদের কন্ডিশনে আমরা কেমন দল। এটা মুখে বলার থেকে কাজে করে দেখাতে পারি তাহলে সেটাই ভাল হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।