বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে ঘিরে বর্ণিল সাঁজে সাঁজানো হয়েছে ক্যাম্পাসটিকে। ১৬ বছর পর আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন। এর আগে সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। বহুল প্রতীক্ষিত এ সমাবর্তনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যান্তরে এবং বাহিরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে জমকালো আয়োজনের ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ। ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসে নির্মান করা হয়েছে নান্দনিক ফোয়ারা। ২০ফিট ডায়ের উপর থেকে ফোয়ারাটিতে তিন স্তরে ১শত ১০ টি নজেল দিয়ে পানি ওঠা নামা করবে। এর চারপাশে চলাচলের জন্য ১০ফিট রাস্তার রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই সুবিশাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য তৈরী করা হয়েছে। ইবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন,‘৩১ ফুট উচ্চ এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের ২য় সর্বোচ্চ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য।’ সমাবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্যান্ডেল। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্যান্ডেলে ১৫০টি সোফা, ৩ হাজার কুশন চেয়ার এবং ৭ হাজার প্লাস্টিক চেয়ার, ৪৫০টি লাইট ও ২৫০টি ফ্যান থাকবে। প্যান্ডেল কমিটির সদস্যরা জানান, পুরো প্যান্ডেল জুড়ে বিছানো থাকবে লাল কার্পেট। একই সাথে প্যান্ডেলের পাশেই থাকবে বিশ্রাম কক্ষ ও টয়লেট। সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসের রাস্তা সংস্কার, বিভিন্ন স্থাপনা, বিভাগ গুলোর করিডোরে পড়েছে রঙের ছোঁয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, আবাসিক হল, অনুষদসমুহ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, ডায়না চত্বরসহ ক্যাম্পাসের ভবনগুলোতে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিবি, এনএসআইসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
বহুল প্রতিক্ষিত সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ঠ লেখক, শিক্ষাবীদ, বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল।
সমাবর্তনের দিন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ছাড়াও পরমানু বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ আলী বিজ্ঞান ভবন, ফোয়ারা, শেখ রাসেল হল এবং শেখ হাসিনা হলের ২য় ফেজ উদ্বোধন করবেন।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন,‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমনে উৎসব মুখর পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে । ইতমধ্যে পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। সাথে সাথে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ’
চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন,‘সমাবর্তনে মোট ৯ হাজার ৩৮০ জন নিবন্ধীত শিক্ষার্থী এবং প্রায় একহাজার আমন্ত্রিত অতিথিকে আমন্ত্রনপত্র পাঠানো হয়েছে। আমাদের এই মহা আয়োজন সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘সমাবর্তনের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামীকাল আমরা সকল কিছু এসএসএফ-এর সদস্যদের হাতে তুলে দেব। এখন শুধু প্রতিক্ষা ৭ তারিখের সেই মাহেন্দ্রক্ষনের। সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করছি সমাবর্তন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।