Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা

প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : চাটমোহরসহ চলনবিলের উপজেলাগুলোতে কম বয়সী শিশু শ্রমিকের সংখা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। সরকারী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এনজিওদের চালুকৃত গণশিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে আপাতত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও অনেক শিশু লেখা পড়া ছেড়ে পেশাভিত্তিক কাজেই বেশি ঝুকে পড়েছে। রাজমিস্ত্রী, সুতার মিস্ত্রী, লেদ ওয়েলডিংয়ে, পান- বিড়ি দোকানে, হোটেলে, রেস্টুরেন্টে, ইটভাটায়, দর্জির দোকানে শ্রম দিয়ে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে পরিবার চালায়। শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত, বেকার যুবক-যুবতী অপেক্ষাকৃত এসব উপার্জনক্ষম শিশু শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদাও কম। আস্তে আস্তে বয়স বাড়ার সাথে সাথে দক্ষতাও বাড়ে। একদিন পরিণত হয় দক্ষ শ্রমিক হিসাবে। চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সিংড়া, উল্লাপাড়া, শাহাজাদপুর, উপজেলার প্রতিটি হাটে ঘাটে, ইটভাটায়, লেদ ওয়েডিং, রাজমিস্ত্রী, সুতার মিস্ত্রী, লেদ ওয়েডিংয়ে, পান-বিড়ি দোকানে হোটেলে, রেস্টুরেন্টে, প্রভৃতি স্থানে তারা শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে। অধিকাংশ বাবা-মা ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাইলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপে এবং নিজের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ওই সব কতিপয় শিশুদের উপাজনের সহায়ক শক্তি মনে করে। অষ্টম শ্রেণী পাস সার্টিফিটেই তাদের বেশী প্রয়োজন। যে বয়সে শিশুদের বই-খাতা নিয়ে বিদ্যালয়ে গমনের কথা সেই বয়সের শিশুরা অন্যের দোকানে কমদামে শ্রম বিক্রি করে সংসারের হাল ধরতে দেখা যাচ্ছে। তাদের ভাষা ‘বড় পড়া’ পড়ে লাভ কি এ সকল মনোভাবের কারণে ও আর্থিক অনটনেই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ