Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সেনা রচিত সংবিধান সংস্কারের আহŸান মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের বেসামরিক প্রেসিডেন্ট দেশটির সেনাবাহিনীর রচিত সংবিধান সংস্কারের আহŸান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে দেয়া ভাষণে এই আহŸান জানান তিন কিয়াউ। তিনি কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থায় স্বীকৃত সব সংখ্যালঘুদের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আহŸান জানান। যদিও তিনি রাখাইনে দেশটির সামরিক বাহিনীর নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থার কথা ভাষণে উল্লেখ করেননি। মিয়ানমারের শাসন ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা কমিয়ে আনার বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর ইস্যু। বেসামরিক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই এ বিতর্ক শুরু হয়। যদিও দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির উপদেষ্টা ও বিখ্যাত আইনজীবী গত বছরের জানুয়ারিতে নিহত হওয়ার এই বিতর্কে ভাটা পড়ে। ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের ৭০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা যখন কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গড়ে তুলছি রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে। আমাদের সবাইকে উপযুক্ত সংবিধান গঠনের জন্য কাজ করতে হবে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদ আনুষ্ঠানিক। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেশটির নেত্রী সু চির ঘনিষ্ঠ। ভাষণে তিনি উপযুক্ত বলতে কী বোঝাতে চাইছেন সে ব্যাখ্যা দেননি। অথবা ২০০৮ সালে সেনারচিত সংবিধানের কথাও যে তিনি বলছেন তা উল্লেখ করেননি। মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান অনুসারে সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। বিদেশিকে বিয়ে করা কেউ দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না বর্তমান সংবিধানের নিয়মে। সু চির প্রয়াত স্বামী ছিলেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তার দুই সন্তানও ব্রিটিশ। ২০০৮ সালের সংবিধানে সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এছাড়া সংবিধান সংশোধন ও নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে সেনাবাহিনীর। ২০১১ সালে মিয়ানমারের ৪৯ বছরের সেনা শাসনের অবসান হয়। সু চির পার্টি ২০১৫ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে বেসামরিক সরকার গঠন করে। তবে দেশটির গণতন্ত্রের অভিমুখে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছয় লাখেরও বেশি মানুষ। রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ