পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জবি সংবাদদাতা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। প্রথম বর্ষের ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় স্বপন, সোহান, অয়ন, হিমু, পার্থ, শরীফ ও ফয়সালসহ ১৫ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মী কণিক ও তাইজুদ্দিনকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মীরা মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল আটটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে টিএসসিতে সভাপতি গ্রুপের কর্মী স্বপনকে (১২তম ব্যাচ, সমাজবিজ্ঞান) সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী রাতুল, সৈকত, স্বপন (১২তম ব্যাচ)সহ আট থেকে দশজন মারধর করার এক পর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, ছুড়ি, রড, হাতুড়ী, লাঠিসোঠা নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে তারা সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরাও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। এসময় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে অনেকগুলো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজেদের আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেন। এসময় সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের কর্মী রুদ্র, রাতুল, অর্ণব, পিয়াস, স¤্রাটসহ কয়েকজন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সভাপতি গ্রুপের কর্মী সোহানের (১১তম ব্যাচ, মার্কেটিং) উপর হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহানকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে দুপুর ১২টার দিকে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। অন্যদিকে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা নতুন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি তরিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তার কর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে এসে ছাত্রলীগ কর্মীদের শান্ত হয়ে ইট, পাটকেল, লাঠি, সোঠা ও অস্ত্র ফেলার নির্দেশ দেন। এসময় সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা লাঠি, সোঠা, অস্ত্র ফেলে দিলে এই সুযোগে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মীরা সম্পাদকের কর্মীদের উপর আবার হামলা করেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদকের কর্মী অয়ন, হিমু, পার্থ, শরীফ (১২তম ব্যাচ) গুরুতর আহত হন। অয়নকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী তানভীর চৌধুরী শাকিল ওরফে মশাল শাকিল (১২ তম ব্যাচ, মার্কেটিং) হাতুরী দিয়ে মাথা থেতলে দেয়। পরে সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাসে বিচ্ছিন্ন ভাবে অবস্থান নেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ না পাওয়ায় ঘটনার সময় পুলিশ নিরব দশর্কের ভূমিকা পালন করে। পরে লালবাগ জোনের ডিসি এব্রাহিম খলিল কঠোর নির্দেশ দিলে কোতআলী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার বদরুল হাসান রিয়াদের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। এসময় ইট, পাটকেল, রড, হাতুরী, লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী জোনের এসি বদরুল হাসান রিয়াদ বলেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য চার থেকে পাঁচ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এবিষয়ে জবির প্রক্টর ড.নূর মোহাম্মদ বলেন, এখন পর্যন্ত কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি। পুলিশের নিরব ভুমিকা ব্যাপারে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির নিজেরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল তাই পুলিশ প্রশানকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।