নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। ২০১৭’র বিদায়ের পর নতুন আশা নিয়ে পথচলা শুরু হলো ২০১৮ সালের। গেল বছর দেশের পুরুষ ফুটবলে জাতীয় দল অনুজ্জ্বল থাকলেও মহিলারা আলো ছড়িয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় দলসহ বয়সভিত্তিক দলগুলো ছিলো সাফল্যের তুঙ্গে। নারীরা দেশকে এনে দিয়েছে শিরোপা জয়ের তৃপ্তি। গেল বছরের শুরুতে জাতীয় মহিলা দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হলেও শেষ দিকে কিশোরীরা অনুর্ধ্ব-১৫ সাফের শিরোপা উপহার দিয়েছে দেশকে। এবার পুরনো সব গøানি ঝেরে ফেলে দেশের পুরুষ ফুটবলে জাগরণ ঘটাতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সঙ্গে নারী ফুটবলকেও এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর তারা। তাই নতুন বছরে বাংলাদেশের পুরুষ ও নারী ফুটবলে ব্যস্ত সূচী থাকছে।
দীর্ঘ ১৪ মাস কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেনি জাতীয় পুরুষ দল। তবে ২০১৮ সালে এ বৃত্ত থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য। মার্চ মাসে জাতীয় দলকে দু’টি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। ২২ মার্চ কম্বোডিয়ায় এবং ২৭ মার্চ ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে হতে পারে ম্যাচ দু’টি। এছাড়া ৪ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ টুর্নামেন্টে সেরার খেতাব জিততে লড়বে বাংলাদেশ। বালকদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপও রয়েছে এ বছর। গেল বছরের মতো নতুন বছরেও ব্যস্ত থাকবে মহিলা ফুটবল দল। ডিসেম্বরে রয়েছে মহিলাদের সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপও হবে এবার। এছাড়া মার্চে হংকং আয়োজন করবে নারী অনূর্ধ্ব-১৫ আমন্ত্রণমূলক চারজাতি টুর্নামেন্ট। যে আসরে খেলবে বাংলাদেশ দলও। মে মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ফুটসাল টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে বাংলার মেয়েরা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। এছাড়া সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ও অক্টোবরে অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্টও খেলবে লাল-সবুজের মেয়েরা।
এ বছর এএফসি কাপে অংশ নেবে বাংলাদেশের দু’টি ক্লাব। এশিয়ার ক্লাব পর্যায়ের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট এএফসি কাপে খেলা নিশ্চিত ঢাকা আবাহনীর। দ্বিতীয় দলটির নাম জানা যাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পর। এএফসি কাপের জন্য আবাহনী ছাড়াও এন্ট্রি করেছে ঢাকা মোহামেডান ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের উপরে থাকা এই দু’দলের যে কোন একটি দল আবাহনীর সঙ্গে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পাবে। মার্চ কিংবা এপ্রিলে চট্টগ্রাম আবাহনী আয়োজন করবে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনী ছাড়াও বাংলাদেশের আরও দু’টি ক্লাব অংশ নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।