Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রংপুরের নির্বাচন ইসির গ্রহণযোগ্যতার গ্যারান্টি নয় -সুজন

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও এই ভোট দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিচার করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। একই সঙ্গে তিনি এই ভোটের ফলাফল দেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাস না করতে সতর্ক করেছেন। গতকাল রংপুর সিটি নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের দৃষ্টিতে নির্বাচন নিয়ে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২১ ডিসেম্বর রংপুরের ভোট সা¤প্রতিককালের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের একটি। সেখানে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টি জিতেছে। আর তৃতীয় হয়েছে বিএনপি
বিএনপির পক্ষ থেকে শুরুতে এই নির্বাচনকে কারচুপি এবং ভোটকেন্দ্র দখলের ভোট বলা হলেও পরে আবার নেতারা ভোটকে সুষ্ঠু বলেছেন। গাঁচ বছর আগের নির্বাচনের তুলনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ভোট কমে যাওয়া এবং বিএনপির প্রার্থীর ভোট বাড়াকে সরকারের জনপ্রিয়তা কমার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছেন নেতারা। তবে স্থানীয় এই নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে না মেলানোর পরামর্শ দিয়েছেন আবুল মকসুদ। আবার এই ভোট দিয়ে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা বিচারেরও বিরুদ্ধে তিনি। আবুল মকসুদ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, গ্রহণযোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে দেখাতে হবে সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যেখানে ক্ষমতা বদল হয়। রংপুরের নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা যাচাই করার কোন কারণ নাই।’
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের নয়, এজন্য সরকারসহ সকলকে সমান দায়িত্ব পালন করতে হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি উদাহরণ হতে পারে বলেও মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পরবর্তী নির্বাচনগুলো পরিচালনা করা উচিত। সুজন সম্পাদক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনও প্রচেষ্ঠা আমরা দেখিনি। সরকারের শরিক দলভুক্ত এমপি-মন্ত্রীরাও নির্বাচনী এলাকায় থাকলেও কেউ প্রচারণায় অংশ নেননি। সরকার যদি সহায়তা করে এবং প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করে তাহলে জাতীয় নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে জাতীয় নির্বাচকে সুষ্ঠু করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে রংপুরে নির্বাচিত মেয়রসহ ৪৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, মামলা সংক্রান্ত তথ্য, বাৎসরিক আয় ব্যয়, এবং ঋণ ও কর সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, নবনির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের বার্ষিক আয় ১০ লাখ ১২ হাজার ২৭২ টাকা। আর কাউন্সিলর প্রার্থীদের ৪২ দশমিক ২২ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ২০ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পাস। নবনির্বাচিত মেয়রও স্নাতক পাস। নির্বাচিতদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায়ী। নির্বাচিত ৩৩ জন সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে ২৪ জনই ব্যবসায়ী। নির্বাচিত মেয়র নিজেও ব্যবসায়ী বলে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুজন

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ