মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রবল মতের বিরোধ। ব্যবসা সংক্রান্ত সংঘাত। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। সব মিলিয়ে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর দুই কর্ণধার মুকেশ ও অনিল অম্বানির সম্পর্ক অনেকটাই টক ঝাল মিষ্টি। তবে আজও দুই ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরেনি তা প্রমাণ করলেন মুকেশ আম্বানি। গত বৃহস্পতিবার, ছোট ভাই অনিল আম্বানির ধুঁকতে থাকা টেলিকম ব্যবসাকে জাগিয়ে তুলতে তাঁকে ২৩ হাজার কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন তিনি। বাবা ধীরুভাই আম্বানির জন্মদিনে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। ২০০৫ সালে দাদার সঙ্গে বিবাদের জেরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনিল। ওই বছরই রিলায়েন্স গ্রæপ গঠন করেন তিনি। মূলত টেলিকম ব্যবসা চালিয়ে ‘আরকম’ নাম দিয়ে মোবাইল পরিষেবা চালু করেন তিনি। ২০১০ সালে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে জায়গা করে নেয় ‘আরকম’। তবে শীঘ্রই শেষ হয়ে আসে অনিলের সুদিন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক কারণে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা চেপে বসে ‘আরকম’-এর ঘাড়ে। প্রায় সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে পা বাড়িয়ে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় অনিলের সংস্থাটি। এই পরিস্থিতিতেই ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসেন মুকেশ। এদিন তিনি জানান, জেআইও’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ‘আরকম’। প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার ওই চুক্তির আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে কার্যকরী করা হবে। জানা গিয়েছে, এই চুক্তির পর আর মোবাইল অপারেটর থাকছে না অনিলের সংস্থাটি। ‘আরকম’-এর সমস্ত মোবাইল টাওয়ার, স্পেকট্রাম ও সরঞ্জাম কিনে ফেলতে চলেছে মুকেশের সংস্থাটি। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে টেলিকম ব্যবসা তুমুল সাড়া ফেলে জেআইওর পরিষেবা শুরু করেন মুকেশ আম্বানি। টিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।