Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেপালে মাওবাদী বিজয়ে ভারত থেকে কেন্দ্র চীনে সরার ইঙ্গিত

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নেপালি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির দুটি শাখা ২৭৫টি আসনের মধ্য ১৭৪টিতে জয়ী হয়েছে। এই জয়কে নেপালের ভারতীয় বøক থেকে উদীয়মান চীনের দিকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভারতপন্থী নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির জয়ের ফলে আরেক কমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রীর দেখা মিলতে যাচ্ছে নেপালে। তিনি হলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) খাড়গা প্রাসাদ অলি। তিনি এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালেৃর আগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অলির পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (মাওয়িস্ট সেন্টার) পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচন্ড। দুই দল এখন জোট গড়েছে। টেক্সাসের ভূরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটফোরের বিশ্লেষকরা লিখেছেন, এই নির্বাচনে যা প্রকাশ করেছে তা হলো নেপালের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হিসেবে চীনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, নেপালে প্রভাব বিস্তারের জন্য চীন ও ভারতের মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা শুরু হলো মাত্র। ইতোপূর্বে বেইজিংয়ের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নয়া দিল্লি তীব্র সমালোচনা করেছিল অলির। তিনি চীনা রাষ্ট্রীয় কনসোর্টিয়াম গেজুবা গ্রæপকে আবার ২.৫ বিলিয়ন ডলারের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তিটি বরাদ্দ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেউবা সরকার তা বাতিল করেছিল। ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের হর্ষ পান্ড সিএনবিসিকে জানিয়েছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার বিপুল সুযোগ রয়েছে কাঠমান্ডুর কাছে। সিএনবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ