নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দায়ীত্ব পালন করেছেন কে? এমন প্রশ্নে একটি নামই এতদিন ফুটবল ভক্তদের মাথায় খেলে যেতÑ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সমর্থক হয়ে যাওয়া স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। তবে পরশুর পর থেকে এই চূড়ায় ফার্গি একা নন। তার সেই ৮১০ ম্যাচের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন আর্সেনাল গুরু আর্সেন ওয়েঙ্গার।
ক্রিস্টাল প্যালেচকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিনটাকে স্বরনীয়ও করে রেখেছেন গানার কোচ। আগামীকাল বছরের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ব্রæমের বিপক্ষে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ফার্গিকে টপকে যাবেন ৬৮ বছর বয়সী এই কোচ। এমন মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে খুশী ওয়েঙ্গার বলেন, ‘অবশ্যই এটি দুর্দান্ত একটি রেকর্ড। এমন রেকর্ড অর্জন করা ভাগ্যের ব্যাপার। ৮১০টি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছি। অনেক বড় জার্নি ছিলো। তারপরও আমি অভিভূত। সামনে আরও অনেক কিছু অর্জনের বাকী রয়েছে। আমি আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’ ম্যাচ সংখ্যায় ফার্গিকে ছুঁলেও জয়ের কিন্তু এখনো অনেক এগিয়ে ওয়েঙ্গার। ফার্গির জয় যেখানে ৫২৮টি সেখানে ওয়েঙ্গারের ৪৬৮টি।
সেই ১৯৯৬ সাল থেকে আর্সেনালের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে রেখেছেন ওয়েঙ্গার। দীর্ঘ এই সময়ে জিতেছেন ঘরোয়া সব শিরোপা। অবশ্য অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে তাকে। লিগে ভালো করতে না পারায় গেল মৌসুমেও সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকার পাঁচে থেকে লিগ শেষ করতে হয়েছিল ২০০৩/০৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের। এরপর থেকে অবশ্য ওয়েঙ্গারের দলের নাম হয়ে গেছে ‘শীর্ষ চারের ক্লাব’। তার মানে এরপর থেকে আর শিরোপা জেতেনি আর্সেনাল। তবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে থেকেছে প্রায় নিয়মিতই। গেল মৌসুমের মত এবারও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই ওয়েঙ্গারের দল। ক্রিস্টালের বিপক্ষে জয়ের পরও তালিকায় তাদের অবস্থান ছয়ে। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান ১৯ পয়েন্টের।
তার দলের হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন চিলির স্ট্রাইকার অ্যালেক্সিস সানচেস। মুস্তাফির গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই টনসেন্ডের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিক ক্রিস্টাল প্যালেস। ৬২ থেকে ৬৬Ñ এই চার মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সানচেস। শেষদিকে টমকিন্সের গোলটি শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পারে।
এমন পারফর্মন্সের পরও ওয়েঙ্গারের মত যোগাতে পারছেন কই সানচেস। অনেক দিন ধরেই তার দল ছাড়া নিয়ে গুঞ্জন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ওয়েঙ্গান নিজেই সানচেসকে খুব একটা পছন্দ করেন না। আসছে গ্রীষ্মে ফ্রিতেই তাকে ছেড়ে দেবে আর্সেনাল। যদিও মাঠের পারফর্ম্যান্স কিন্তু সাবেক বার্সেলোনা স্ট্রাইকারের মন্দ না। এখন পর্যন্ত লিগেই গোল করেছেন ৮টি, ৩টিতে সহায়তা। দলের হয়ে যা আলেক্সান্ডার লাকাজেত্তির সঙ্গে যৌথ সর্বোচ্চ। তবুও সানচেস প্রশ্নে ম্যাচ শেষে ফরাসি কোচ বলেই ফেললেন, ‘কেউ-ই জানে না সামনে কি ঘটবে। এমনটা ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।