নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল ক্যারিয়ারে অনন্য হয়ে আছেন লাইবেরিয়ার সাবেক স্ট্রাইকার জর্জ উইয়াহ। ইউরোপের বাইরে একমাত্র আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর। ৫১ বছর বয়সী এই তারকাই এবার রাজনীতির ক্যারিয়ারে শুরু করলেন নতুন অধ্যায়। ভোটাভুটির মাধ্যমে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি ও এসি মিলান স্ট্রাইকার। ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আফ্রিকান এই তারকা ব্যালন ডি’অর জেতেন ১৯৯৫ সালে। ২০০৩ সালে ফুটবলকে বিদায় দিলেও নতুন ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন রাজনীতি। লাইবেরিয়ার পার্লামেন্টে ছিলেন সিনেটর। গেলপরশু দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায় ব্যালটের মাধ্যমে শতকরা ৬১.৫ শতাংশ ভোট পান উইয়াহ। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এলেন জোনসন স্যারলিফের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। আর এই স্যারলিফই ছিলেন আফ্রিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ২০০৫ সালে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর নির্বাচনে জয়ী হয়ে এতদিন পদে ছিলেন স্যারলিফ।
তবে জীবনের গল্পটা এত্তো সহজ ছিলনা। লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়া বস্তিতে এক দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা উইয়াহ একটু বড় হয়েই পেয়ে গিয়েছিলেন সরকারের টেলিফোন বিভাগের সুইচ বোর্ড টেকনিশিয়ানের চাকরি। যেটি এনে দিয়েছিল অভাবের সংসারে দু’বেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা। তবে ফুটবলার হবার স্বপ্ন যার মনজুড়ে, সে কি আর এই ছক-বাধা চাকরিতে সন্তুষ্ট হতে পারে! কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেলতেন লাইবেরিয়ান লিগে। সেখান থেকে আর্সেন ওয়েঙ্গারের জহুরির চোখ তাকে খুঁজে নিয়ে গেল মোনাকোতে। ব্যাস, বদলে গেল জীবনের গল্প। মোনাকো থেকে পিএসজি, মিলান, চেলসি, ম্যানসিটি হয়ে মাতিয়েছেন ইউরোপ। পিএসজিতে থাকতেই জিতেছেন ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার। এখন পর্যন্ত এ দুটি পুরস্কার জেতা একমাত্র আফ্রিকান ফুটবলার তিনিই। এবার প্রেসিডেন্ট হয়ে দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কী করতে পারেন উইয়াহ সেটিই দেখার বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।