নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৯তম রাউন্ডে কষ্টের জয় পেয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে আসলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। অন্যদিকে এই রাউন্ডে ড্র করায় তৃতীয়স্থানে নেমে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনী প্রথমে পিছিয়ে থেকে ২-১ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। বিজয়ীদের হয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডারলিংটন ও সানডে চিজোবা একটি করে গোল করেন। মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম। এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট পেয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলে সবার আগে জায়গা পেল ঢাকা আবাহনী। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান দশমে।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেনি ঢাকা আবাহনী। যার ফলে প্রথমে গোল হজম করতে হয় তাদের। যদিও ১০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এসময় নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার দুর্বল হেড মুক্তির গোলরক্ষকের গøাভসে জমা পড়ে। ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। শাহ আলমগীর অনিককে আবাহনী ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় মুক্তিযোদ্ধা। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তৌহিদুল আলমের বাঁম পায়ের ফ্রি-কিক আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম ফিস্ট করার পর ক্রসবারের ভেতরের কাণায় লেগে বল জালে জড়ায় (১-০)। পিছিয়ে পড়ে গোলশোধে মরিয়া আবাহনী আক্রমণে গেলেও সেই আক্রমণে ধার ছিলো না। ২২ মিনিটে ওয়ালীর ফ্রি কিকে সানডের হেড মুক্তির ক্রসবারে লাগলে সমতায় ফেরা হয়নি আবাহনীর। পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়নোর সুযোগ বাইরে মেরে নষ্ট করেন মুক্তিযোদ্ধার নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মাগালান আওয়ালা। ২৯ মিনিটে বাঁম দিকের ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে সানডের ফ্রি-কিক শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে ফিরিয়ে মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক আজাদ হোসেন। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মুক্তিযোদ্ধা। তবে বিরতির পর আবাহনীর গোছালো ফুটবলের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই পাল্টে যায় আবাহনীর খেলা। তারা একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে মুক্তির রক্ষণদূর্গকে। ৫৮ মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। এসময় ডি-বক্সের ভিতর থেকে সানডের শট আমিরুল ইসলাম কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। সাত মিনিট পর ইমন মাহমুদ বাবুর জোরালো শটে সোজা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক গ্রিপে পড়লে হতাশা আরও বাড়ে আবাহনীর। তবে ৬৭ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি মুক্তিযোদ্ধার। সমতায় ফেরে আবাহনী। এসময় ডান দিক থেকে ইমনের কর্নারের বল মুক্তির গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠেও ফেরাতে পারেননি। হেডে গোল করেন এমেকা ডারলিংটন (১-১)। ৮৪ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ইমনের জোরালো ভলি ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মুক্তির গোলরক্ষক। এরপর সানডের প্রচেষ্টাও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় বিজয়ীরা। ৯০ মিনিটে আব্বাস ইউনুসার হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে সানডে গোল করলে আবাহনীর জয় নিশ্চিত হয়। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে আরেক শিরোপা প্রত্যাশি চট্টগ্রাম আবাহনী। এই ড্র’তে ১৯ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে নেমে গেল চট্টগ্রামের দলটি। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে অষ্টমস্থানে জায়গা হলো ব্রাদার্সের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।