Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অর্ধলক্ষ মাদরাসা শিক্ষকের বেতন বন্ধ ২ বছর যাবত

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ডসহ ১৬টি রাজ্যে ৫০,০০০ হাজার মাদরাসা শিক্ষকের বেতন দুই বছর ধরে বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি বেতন-ভাতার ওপর নির্ভরশীল এসব শিক্ষক কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রভাইডিং ফর কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদরাসা’ (এসপিকিউইএম) প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। বেতন না পেয়ে অনেকে তাদের শিক্ষকতার কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। মাদরাসায় মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৮-০৯ সালে প্রথম কেন্দ্রীয় এইচআরডি মন্ত্রণালয় এই এসপিকিউইএম প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পে কর্মরত মাদরাসা শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বেতন পেতেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্নাতক শিক্ষকদের প্রতিমাসে ৬,০০০ রুপি এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের মাসে ১২,০০০ রুপি বেতন দেয়া হতো। এই অর্থ হলো শিক্ষকদের মোট বেতনের যথাক্রমে ৭৫ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ। বাকিটা নিজ নিজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হতো। অখিল ভারত মাদরাসা আধুনিকীকরণ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মুসলিম রেজা খান বলেন, উত্তর প্রদেশের ১৮,০০০ হাজার মাদরাসা অর্ধেক শিক্ষকই বেতন পাচ্ছে না। এদের সংখ্যা ২৫,০০০-এর মতো। এই নিয়ে দুই বছর ধরে ১৬টি রাজ্যের মাদরাসা শিক্ষকরা তাদের বেতনের কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ পাচ্ছেন না। কোনো কোনো রাজ্যে তিন বছর ধরে এই বেতন দেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে বলে খান জানান। মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন দেয়া বন্ধের কথা স্বীকার করে উত্তর প্রদেশের মাদরাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রারার রাহুল গুপ্ত বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের শিক্ষকদের বেতনের ২৯৬.৩১ কোটি রুপি ছাড় করেনি। ২০১৭-১৮ সালের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও এ বছরের তহবিলও ছাড় করা হয়নি। সিজিআইএসি’র সাবেক সদস্য হালিম খান বলেন, ‘পরিস্থিতির জন্য রাজ্যগুলোর সামনে নানা অযুহাত তুলে ধরছে। রাজ্যগুলো ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি বলা হচ্ছে। আরো বলা হচ্ছে যে মাদরাসার ব্যাপারে রাজ্যগুলোর কোনো ‘ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড’ নেই, ইত্যাদি। সাউথ এশিয়া মনিটর।



 

Show all comments
  • Sy Farhad ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৪৪ পিএম says : 0
    কি বলে এসব? বেতন না পেয়ে কেমন করে চলে পরিবারপরিজন নিয়ে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ