Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন-রাশিয়া-সিরিয়াসহ ১০ দেশের বিরোধিতা

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বসহ ফেরাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

| প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া এবং রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা কর্মীদের প্রবেশাধিকার দেয়ার আহŸান জানিয়ে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব পাস হয়েছে।
প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় জাতিসংঘে মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক একজন বিশেষ দূত নিয়োগের আহŸান জানানো হয়েছে।
গত রোববার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা(ওআইসি) উত্থাপিত প্রস্তাবটি ভোটাভুটির মাধ্যমে পাস হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ১২২ ভোট ও বিপক্ষে ১০ ভোট পরেছে। এছাড়া ২৪টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ছাড়াও রয়েছে চীন, রাশিয়া, কম্বোডিয়া, লাউস, ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, বেলারুস, সিরিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
এর আগে প্রস্তাবটি জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে পাস হয়েছিল। এতেও বিপুল ভোটে তা পাস হয়। সাধারণ পরিষদের বাজেট কমিটির কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই জাতিসংঘে মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক একজন বিশেষ দূত নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সেনাক্যাম্পে হামলার অজুহাতে দেশটির সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসী বৌদ্ধ জঙ্গিরা নিরস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় জাতিগত নিধন। হত্যা করা হয় ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে। যার মধ্যে ছিল ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হাজার হাজার নারী, দুগ্ধপোষ্য শিশু, যুবক, প্রখ্যাত আলেম, এমনকি পঙ্গু ও বৃদ্ধরাও। জ্বালিয়ে দেয়া হয় গ্রামের পর গ্রাম। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে একঘরে করে ফেলে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বন্ধ করে দেয়া হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে ৬ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। অবশ্য মিয়ানমারের প্রশাসন গণহত্যা, নির্যাতনের কথা বারবার অস্বীকার করলেও তার যথার্থতা প্রমাণে কোন বিদেশী সংস্থা এমনকি সাংবাদিকদেরও রাখাইনে যেতে দেয়নি। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ