নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : প্রার্থীদের চ‚ড়ান্ত প্রচারণা চলাকালীন ভোট গ্রহণের মাত্র একদিন বাকি থাকতে নরসিংদীর বালাপুর নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধের পায়তারা চলছে। এ খবর প্রচারিত হবার পর বালাপুর নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ বালাপুর এলাকার সকল স্তরের লোকজনের মধ্যে গণ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার তারা নরসিংদী প্রেস ক্লাবে গিয়ে নির্বাচন বন্ধের ষড়যন্ত্রের কথা সাংবাদিকদেরকে অবহিত করেছেন। তারা জানান, প্রভাবশালী মহলের চাপে কর্তৃপক্ষ বেআইনীভাবে নির্বাচন বন্ধের পায়তারা করছে।
জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুর নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুস সবুর সকল শর্ত পূরণ করে ভোটার তালিকা তৈরী করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি যাচাই বাছাই করে ১১০৫ জন ভোটারের ভোটার তালিকা অনুমোদন করে। এই তালিকার ভিত্তিতেই প্রধান শিক্ষক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীমা আক্তার বানু প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে গত ২৯ নভেম্বর বালাপুর নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৪ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত হন। বর্তমানে ১১ জন প্রার্থী ভোটার তালিকা অনুযায়ী ব্যাপক প্রচার প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবি হবে টের পেয়ে মোবারক হোসেন নামে একজন প্রার্থী উপজেলার নির্বাহীর কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন যে, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের ভোটার করা হয়েছে। এই ভোটার তালিকা সঠিক নয়। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীমা আক্তার বানুকে দায়িত্ব প্রদান করেন। শামীমা আক্তার বানু রহস্যজনক কারণে নির্বাচন বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত সুপারিশ পেশ করেন। এই ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হলে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক ও প্রার্থীরা গতকাল নরসিংদী প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের নির্বাচন বন্ধের ষড়যন্ত্রের কথা অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীমা আক্তার বানুর সাথে যোগযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, আমি ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেছি, সিদ্ধান্ত দেইনি। সিদ্ধান্ত দিবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভোটার তালিকা সংশোধন করা না পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। তবে এখনোও নির্বাচন বন্ধ হয়নি।
এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান নামে একজন নির্বাচন অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিডিউল ঘোষানার পর নির্বাচন বন্ধ করার একমাত্র এখতিয়ার আদালতের। নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে চলমান নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারেননা। ব্যাপারটি নিয়ে নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসার হারুনঅর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় কোন আপত্তি দাখিল না করে থাকলে নির্বাচনের একদিন পূর্বে সে ভোটার তালিকা সম্পর্কে কোন আপত্তি কার্যকর হবে না। আদালত ছাড়া কোন নির্বাহী আদেশে নির্বাচন বন্ধ করার কোন এখতিয়ার কারো নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।