নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাহফুজুল হক আনার ও বিরল উপজেলা সংবাদদাতা : আর মাত্র একদিন পর দিনাজপুরের বিরল পৌরসভা’র প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুটি বড় দলই বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়ে শঙ্কার কারণ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের সাথে কেন্দ্রীয় মতামতের পার্থক্য ক্রমান্বয়ে প্রকাশ্যে রুপ নিতে শুরু করেছে। এর সাথে রয়েছেই সাধারণ মানুষের মতামত। প্রার্থীরা নবগঠিত পৌরসভার প্রথম মেয়র ও কাউন্সিলরের চেয়ার দখলের লক্ষ্যে শীতকে উপেক্ষা করে বিরামহীনভাবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূরো উপজেলায় সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পাটি’র মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মিলে মেয়র পদে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। তবে মামলা জটিলতায় নির্বাচনের তিন দিন আগে গত রোববার বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য পত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে। এদিকে ৯টি ওয়ার্ডে ৪৪ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২০ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ৮ হাজার ৯১৫ জন। যার মধ্যে ৪ হাজার ৫৫৬ জন পুরুষ ও ৪ হাজার ৩৫৯ জন মহিলা।
দিনাজপুর শহর ঘেষা উপজেলাটির ৫ দশমিক ৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে নবগঠিত পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে প্রার্থীদের পোস্টারে পুরো এলাকা ঢেকে গেছে। বিরল স্থল বন্দরের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় পৌরসভাটির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। মূল বাজার ছাড়া পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় গ্রামের ছোয়া লেগে আছে। প্রার্থীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ী বাড়ী আর সন্ধ্যার পর বাজারে তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটাররাও খুব চিন্তা ভাবনা করে প্রার্থী নির্বাচনের কথা বলছেন।
পৌরসভার প্রথম মেয়রের চেয়ার দখলের জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পাটি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সবুজার সিদ্দিক সাগর ইউপি চেয়ারম্যান থেকে মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। সীমানা জটিলতায় নির্বাচন না হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে ৫নং বিরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই পদে থেকেই তিনি পৌর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। চেয়ারম্যান ছাড়াই দলের মধ্যে প্রভাব রয়েছে তার। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্ধের বিষয়টি মতই ষ্পষ্ট। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তরুণ নেতা শফিকুল আজাদ মনি’ তরুণ সমাজের কাছে অনেক সমাদৃত বলেই অনেকেই মন্তব্য করেছে। মোকলেসুর রহমান ভুট্টো ও তানজিউল ইসলাম লাবু প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তবে আর যা কিছুই হোক না কেন দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের একনিষ্ঠ সমর্থন ও আশির্বাদই জয়লাভের মূখ্য কারন হয়ে দাড়াবে বলেই সচেতন ভোটাররা মন্তব্য করেছেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন লিয়াকত আলী’র পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল হোসেন মাঠ দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নাই বিরল পৌর এলাকায়। দলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের নেতাদের মন্তব্য ঋণ মামলা জটিলতায় দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই নেতা। এ কারনে স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন দাখিলের পরও প্রার্থীতা বাতিল হয়। কিন্তু আপিল গ্রহণযোগ্য হওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র হিসাবে লড়াইয়ে থেকে যান। কিন্ত গত ২৪ ডিসেম্বর রোববার ১৭.০০.০০০০.০৩৪.৩৮.০১৪.১৭.৪৮৫ নং স্মারকে যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত পত্রে মাননীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রার্থীতা বাতিল এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার, বিরল পৌরসভা নির্বাচন এর নিকট একটি পত্র প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে। আর এর পর থেকেই বিরল পৌর নির্বাচনে মেয়র পদের সমীকরন পাল্টে যাওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি’র দাবী বিরল পৌর এলাকার ভোটারদের সিংহভাগই বিএনপি সমর্থিত। তাই তাদের প্রার্থী’র জয় নিশ্চিত। অপরদিকে জাতীয় পাটির্র প্রার্থী মনোনীত একক প্রার্থী হচ্ছেন আফজাল হোসেন দুলাল। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন আইয়ুব আলী ও ফরহাদুর রহমান।
এদিকে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে বিরল পৌর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।