Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা - হাটের জমি দখল করে প্রভাবশালীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা

ইজারাদারের করাল থাবায় দখল হয়ে যাচ্ছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের প্রসিদ্ধ মহিমাগঞ্জ হাট। আগামী ৩১ চৈত্র ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকারী নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে হাটের পেরিফেরী জায়গার পজেশন বিক্রির মহোৎসব শুরু করেছে তারা। মাত্র কয়েক বছর আগে নির্মিত হাটের প্লাটফরম ভেঙ্গে ফেলে সেই ইট দিয়েই নিয়ম বহির্ভূতভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে এখানে। আর এ জন্যে বরাদ্দ গ্রহীতা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ ছাড়াও গত এক বছরে পুরাতন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জমার নামে জোরপূর্বক হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এমন অসংখ্য অভিযোগের পাহাড় জমলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রভাবশালী এই চক্রের বিরুদ্ধে। ইজারা মেয়াদের শেষ এক মাসে আর কোন জায়গা ফাঁকা না থাকায় তারা হাটের ভিতরের গাছ কেটে ফেলে সেখানেও পাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন, চলতি ১৪২২ বাংলা সালে এক বছরের জন্য উপজেলার ব্যবসা প্রসিদ্ধ হাট মহিমাগঞ্জ হাটের ইজারা নেন মন্টু মিয়া নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। বছরের প্রথম দিন থেকেই তারা এখানকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক গুণ বেশি জমা ধার্য করে তা দিতে বাধ্য করেন বিভিন্ন কায়দায়। হাটের ভিতরে-বাইরে বিভিন্ন ছোট ছোট দোকানের পজেশন বের করে সেগুলো পাকা করার অনুমতি দিয়ে বিক্রি শুরু করে তারা। বর্তমানে প্রকৃত হাটটি অবৈধ পাকা ঘরে ভরে গেছে। এর ফলে বাজারের নির্দিষ্ট পট্টিগুলো বন্ধ হয়ে গিয়ে ধীরে ধীরে হাট চলে গেছে বিভিন্ন রাস্তা ও খেলার মাঠে। কিন্তু হাটের বাইরে হাট থাকলেও খাজনা থেকে মাফ পায় না কেউ। রংপুর চিনিকল থেকে মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশন পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় ধান-চাল-সবজি বা গরু-ছাগলই শুধু নয়, বিভিন্ন কোম্পানীর মালবাহী গাড়িকেও খাজনা দিতে হয় এখন। আগামী ১৪২৩ সালের জন্য বর্তমান ইজারাদার টেন্ডারে হাট না পাওয়ায় আরো মরিয়া হয়ে উঠেছে। মেয়াদের শেষ এক মাসে তারা হাটের জায়গায় অবৈধ পাকা দোকানঘর নির্মাণের মহোৎসব শুরু করে দিয়েছে। সরকারীভাবে নির্মিত বৈধ মহিলা মার্কেটটিকে ঘিরে ফেলেছে অবৈধ দোকানঘর। এ ব্যাপারে ইজারাদার মন্টু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, ইউএনও অফিসে জানিয়েই সবকিছু করা হচ্ছে। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল হান্নান জানান, তিনি কিছুই জানেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা - হাটের জমি দখল করে প্রভাবশালীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ