হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর শক্তিমান রাষ্ট্র, যার ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর অনেক রাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন ঘটে। আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকরাও যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারী দেখলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। বিগত কয়েক বছরের কার্যকলাপে মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রই আমাদের ভাগ্য বিধাতা। বাংলাদেশের দুই বড় প্রতিদ্ব›দ্বী দলের সঙ্গে দুতিয়ালী করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মচারীরা। সাদা চামড়ার লোকদের সম্মান না করলে যেন ভদ্রতা আর থাকে না। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের মত বর্বর জাতি পৃথিবীতে আর দেখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্বর পাকিস্তানীরা যখন নির্বিচারে বাঙ্গালীদের হত্যা করে তখন দেশটি বাংলাদেশের গণহত্যার প্রতিবাদ তো দূরের কথা বরং পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে। পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির মূল কারিগর যুক্তরাষ্ট্র। ইহুদী প্রভাবিত যুক্তরাষ্ট্র আফগান দখল করেছে। ইরাককে ধ্বংস করেছে। মুসলমানদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পিছনে তার ভ‚মিকাই মুখ্য। যে সৌদী আরবের ইহুদীদের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিমকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল সেই দেশটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্তুতিপ্রীতিতে মগ্ন। সৌদীদের ব্যাংক একাউন্ট ও নিরাপত্তাতে তার রয়েছে প্রভাব। আইএস সৃষ্টি এবং প্রকান্তরে জঙ্গী বানিয়ে মুসলমানদের বিশ্ব দরবারে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠার পিছনে একমাত্র কারিগর যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বলেছেন যে, আইএস যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রæ ইহুদী। পরম করুণাময় আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফে ২২টি আয়াতে ইহুদিদের সম্পর্কে সাবধান করেছেন, যা নি¤েœ উল্লেখ করা হলো:
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ৬২) ‘নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১১১) ‘ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রিস্টান ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর।’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১১২) ‘হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১১৩) ‘ইহুদীরা বলে, খ্রিস্টানরা কোন ভিত্তির উপরেই নয় এবং খ্রিস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপরেই নয়। অথচ ওরা সবাই কিতাব পাঠ করে! এমনিভাবে যারা মূর্খ, তারাও ওদের মতই উক্তি করে। অতএব, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল।’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১২০) ‘ইহুদী ও খ্রিস্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই।’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১৩৫) ‘তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রিস্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১৪০) ‘অথবা তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব (আ.) ও তাদের সন্তানগণ ইহুদী অথবা খ্রিস্টান ছিলেন? আপনি বলে দিন, তোমরা বেশি জান, না আল্লাহ বেশি জানেন?’
সূরা আল বাক্বারাহ (আয়াত: ১৪১) ‘তার চাইতে অত্যাচারী কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে প্রমাণিত সাক্ষ্যকে গোপন করে? আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। সে স¤প্রদায় অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে না।’
সূরা আন নিসা (আয়াত: ১৬০) ‘বস্তুতঃ ইহুদীদের জন্য আমি হারাম করে দিয়েছি বহু পূত-পবিত্র বস্তু যা তাদের জন্য হালাল ছিল-তাদের পাপের কারণে এবং আল্লাহর পথে অধিক পরিমাণে বাধা দানের দরুন।’
সূরা আন নিসা (আয়াত: ১৬১) ‘আর এ কারণে যে, তারা সুদ গ্রহণ করত, অথচ এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবং এ কারণে যে, তারা অপরের সম্পদ ভোগ করতো অন্যায় ভাবে। বস্তুতঃ আমি কাফেরদের জন্য তৈরি করে রেখেছি বেদনাদায়ক আযাব।’
সূরা আন নিসা (আয়াত: ১৬২) ‘কিন্তু যারা তাদের মধ্যে জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও মান্য করে যা আপনার উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আপনার পূর্বে। আর যারা নামাযে অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত দানকারী এবং যারা আল্লাহ ও কেয়ামতে আস্থাশীল। বস্তুতঃ এমন লোকদেরকে আমি দান করবো মহাপুণ্য।’
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত: ১৭) ‘যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, সাবেয়ী, খ্রিস্টান, অগ্নিপূজক এবং যারা মুশরেক, কেয়ামতের দিন আল্লাহ অবশ্যই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। সবকিছুই আল্লাহর দৃষ্টির সামনে।’
সূরা আল জুমুআহ (আয়াত: ৬) ‘বলুন হে ইহুদীগণ, যদি তোমরা দাবি কর যে, তোমরাই আল্লাহর বন্ধু- অন্য কোন মানব নয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’
সূরা আল জুমুআহ (আয়াত: ৭) ‘তারা নিজেদের কৃতকর্মের কারণে কখনও মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ জালেমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন।’
সূরা আল মায়েদাহ (আয়াত: ১৪) ‘যারা বলে, আমরা নাছারা, আমি তাদের কাছ থেকেও তাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম। অতঃপর তারাও যে উপদেশ প্রাপ্ত হয়েছিল, তা থেকে উপকার লাভ করা ভুলে গেল। অতঃপর আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। অবশেষে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন।’
সূরা আল মায়েদাহ (আয়াত: ১৮) ‘ইহুদী ও খ্রিস্টানরা বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান ও তাঁর প্রিয়জন। আপনি বলুন, তবে তিনি তোমাদেরকে পাপের বিনিময়ে কেন শাস্তি দান করবেন? বরং তোমারও অন্যান্য সৃষ্ট মানবের অন্তর্ভুক্ত সাধারণ মানুষ। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি প্রদান করেন। নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে, তাতে আল্লাহরই আধিপত্য রয়েছে এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’
সূরা আল মায়েদাহ (আয়াত: ৬৪) ‘আর ইহুদীরা বলে, আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন। আপনার প্রতি পালনকর্তার পক্ষ থেকে যে কালাম অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর পরিবর্ধিত হবে। আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। তারা যখনই যুদ্ধের আগুন প্রজ্জ্বলিত করে, আল্লাহ তা নির্বাপিত করে দেন। তারা দেশে অশান্তি উৎপাদন করে বেড়ায়। আল্লাহ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না।’
সূরা আল মায়েদাহ (আয়াত: ৬৯) ‘নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রিস্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।’
সূরা আল মায়েদাহ (আয়াত: ৮২) ‘আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বে অধিক নিকটবর্তী তাদেরকে পাবেন, যারা নিজেদেরকে খ্রিস্টান বলে। এর কারণ এই যে, খ্রিস্টানদের মধ্যে আলেম রয়েছে, দরবেশ রয়েছে এবং তারা অহঙ্কার করে না।’
সূরা আত তাওবাহ (আয়াত: ৩০) ‘ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে মসীহ আল্লাহর পুত্র। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।’
সূরা আত তাওবাহ (আয়াত: ৩১) ‘তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তারা আদিষ্ট ছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র।’
সূরা আত তাওবাহ (আয়াত: ৩২) ‘তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে।’
মুসলমান নেতৃত্ব যদিও যুক্তরাষ্ট্রকে তোয়াজ করে চলে, গোটা মুসলিম সমাজ কিন্তু তাদের ঈমানী পরীক্ষা দিচ্ছে। মুসলমানদের অধ্যাত্মিক রাজধানী ও প্রথম কেবলা বাইতুল মোকাদ্দাস অধ্যুষিত জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করায় পৃথিবীর গোটা মুসলিম সমাজ যে যেখানে আছে সেখান থেকেই প্রতিবাদ করছে। এখনো মুসলমানদের ঈমান আছে, এখনো তারা প্রতিবাদ করতে জানে। ইরাকে গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবিøউ বুশকে (তার বিদায়ী সফরকালে) ইরাকের আল বাগদাদিয়া টেলিভিশনের সাংবাদিক মুনতাজের আল জাইদি প্রকাশ্যে জুতা মেরে প্রমাণ করেছিল যে, মুসলিম নেতৃত্বের অধঃপতন হতে পারে, কিন্তু সাধারণ মুসলমানদের ঈমান এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি। ইরাকের দখলদার প্রধানমন্ত্রী (তাবেদার) নুরি আল মালিকির নিয়ন্ত্রণাধীন ইরাকী ক্যাঙ্গারু আদালত ঈমানী পরীক্ষায় পরীক্ষিত সাংবাদিক মুনতাজের আল জাইদিকে ২০০৯ সালে তিন বছর জেল দিয়েছিল। রায় শুনে প্রকাশ্যে আদালতে জাইদির বোন রোকেইয়া চিৎকার করে বলেছিল যে, ‘আমেরিকার চর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মালিকি নিপাত যাক’। জাইদীর বোন তার ঈমানী দায়িত্ব থেকেই আদালতে চিৎকার করে আমেরিকান দালালদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পেরেছিলেন।
পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ কোটি মানুষের মধ্যেই একতৃতীয়াংশই মুসলমান। ৫৬টি মুসলিম রাষ্ট্র রয়েছে যারা অর্থ-বিত্তে শক্তিশালী। অথচ তাদের অনৈক্যের কারণে মুসলিম বিশ্ব আজ অসহায়। ট্রাম্প একজন মুসলিম বিদ্বেষী হওয়ার কারণেই ইহুদী আমেরিকানরা তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। মুসলমানরা যতদিন (আল্লাহ বিধান মতে) তাদের শক্র ও বন্ধু চিহ্নিত করতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত বিশ্বে প্রকৃত মুসলিম নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। ট্রাম্পের বক্তব্যে মুসলিম বিদ্বেষ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মুসলিম বিরোধী শক্তির উপরে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্যই ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা শুধু বাতকে বাত কথা নয়, বরং গোটা মুসলিমদের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। সাংবাদিক জাইদির মত শ্রদ্ধা জানাই প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে যিনি এ ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এখনই সময় গোটা মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। রোহিঙ্গা ইস্যু যেমন মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র, অনুরূপ জেরুজালেম সস্পর্কে ট্রাম্পের ঘোষণাও একটি ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। মুসলিম বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বিদ্বেষীরা আজ ঐক্যবদ্ধ সে প্রমাণ নানা উপলক্ষেই পাওয়া যাচ্ছে।
লেখক: কলামিস্ট ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।