বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা : বানারীপাড়া উপজেলায় ৮ ইউপির ৭২ কেন্দ্রে গতকাল (মঙ্গলবার) ব্যাপক গোলযোগ, গুলি, প্রকাশ্যে ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকে ভোট প্রয়োগের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের বিশারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ডিউটিরত অবস্থায় আনসার ব্যাটালিয়ন পুলিশ সদস্য মো: আল আমিন অসাবধানতাবশত নিজের বন্দুকের গুলিতে নিজেই নিহত হন।
উপজেলার বাইশারী ভোটকেন্দ্রে সরকারদলীয় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মাইনুল হোসেন মহম্মদের পক্ষে দলীয় কর্মীরা প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করেছে। সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে গোপন কক্ষে ভোটাররা ভোট দিয়েছে। সকাল ১০টার দিকে এ কেন্দ্রে সরকার দলের সমর্থক মেম্বর প্রার্থীর ভাই ভোট বাক্স ছিনতাই করে নেয়ার সময় অন্য প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশ সদস্যরা বাক্স উদ্ধার করে। এ সময় জিয়া নামে একজন মারাত্মক আহত হয়। ঐ কেন্দ্রে দুই ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া, বালিপাড়া-উত্তরকুল, উত্তরকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে হয়েছে।
সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দকাঠী ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই গোলযোগের সৃষ্টি হলে প্রিজাইডিং অফিসার মো: ফকরুল আলমের নির্দেশে পুলিশ গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কেউ হতাহত হয়নি। তবে সরকারদলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দিতে হয়েছে। একই ইউনিয়নের নলশ্রী ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট হয়েছে। তালাপ্রসাদ ভোটকেন্দ্রে দুপুর ১২টার দিকে মেম্বার প্রার্থী আনোয়ার হেসেন (ফুটবল প্রতীক) ২৫-৩০ জন বহিরাগতকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট তার পক্ষে এবং চেয়ারম্যান পদের নৌকা প্রতীকে সিল মারে। প্রিজাইডিং অফিসার মাওলানা আ: রহিম অসহায় হয়ে পড়েন। তার সহযোগীদের সহযোগিতায় ভোট বাক্স ও ব্যালট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখেন।