বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী রেলওয়ে স্টেশানের দুই পাশে শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও কিশোরগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। উচ্ছেদকৃত স্থাপনার মালিকদের অভিযোগ কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃতরা রেলওয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ তুলেন।
জানা যায়, সোমবার সকালে রেলওয়ের স্টেট অফিসার হাবিবুল্লাহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আবু সায়িদের নেতৃত্বে একটি দল স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসসহ প্রায় শতাধিক দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এতে করে ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১২ সালের রেলওয়ের ভূমি ও ইমারত এবং বিভাগীয় এস্টেট অফিসার, ঢাকার স্বাক্ষরিত পত্রে প্রত্যেক স্থাপনার মালিকদের জরিমানার জন্য নোটিশ দেন। ক্ষতিগ্রস্ততের মধ্যে আসাদুল হক বাবুল বলেন, রেলওয়ের আমিন ফয়েজ উদ্দিন স্থাপনার মালিকদের নিকট থেকে ২০-৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেয়। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দালাল চক্রও জড়িত রয়েছে। বেদেন মিয়া বলেন, আমিন ফয়েজ উদ্দিন আমার মালিকের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। চান মিয়া বলেন, আমাদের কোনো নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ করায় আমরা এখন পথে বসেছি। আমার আয় রোজগারের আর কোনো উৎস নাই। মানিকখালী স্টেশন মাস্টার একেএম আব্দুস ছালামকে রেলওয়ের আমিন ফয়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে উৎকোচের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দোকান মালিকদের নিকট থেকে শুনেছি। এ ব্যাপারে রেলওয়ের আমিন ফয়েজ উদ্দিন বলেন, অবৈধ দখলদারদের মৌখিকভাবে ও মাইকিং করে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উৎকোচের ব্যাপারে বলেন, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোস্তফা কামাল নান্দু বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসেছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ের ডিজি আমজাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে অফিসের পিএ মাহমুদা খাতুন বলেন, স্যার বাইরে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।