পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটের ফলাফল আসার শুরু থেকেই বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয় এ নিয়ে সংশয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে এই ভোটে হারলেও অখুশি নয় দলটি। বিজয়ী দলকে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরাজয় হলেও রাজনীতির বিজয় হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের ভোটে পরাজয় হয়েছে কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক বিজয় হয়েছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচনের রেকর্ড রেখে যাচ্ছে। এটা হলো গণতন্ত্রের বিজয়।
তিনি বলেন, আমরা এ নির্বাচনের ফলাফলকে গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবেই দেখছি। আমরা মনে করি, এ নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির জন্য একটা রেকর্ড রেখে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব নির্বাচনেই কি জিততে হবে? আমাদের নির্বাচিত মেয়রতো নারায়ণগঞ্জে বিজয়ী হয়েছে। বিগত নির্বাচনে তিনি (সরফ উদ্দিন আহমেদ ঝন্টু) স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ী হয়েছে। এবারই আমরা তাকে মনোনয়ন দিয়েছি। আমরাতো কুমিল্লায় হেরে গিয়েছিলাম। সেটার রেজাল্টতো মেনে নিয়েছি। আমরা এটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখছি। এটাতে গণতন্ত্র বিজয় হয়েছে। এর ভিক্টর হচ্ছে জনগণ।
বিএনপির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বানরে সংগীত গায়, সীতা জলে নাচে। তিনি বলেন, এটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের রেকর্ড। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির জন্য মেসেজ। তাদের যে আসলে কোনো জনভিত্তি নেই, সেটিই ভোটের প্রাথমিক ফলাফলে প্রমাণ হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, এসএম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবির কাওছার, আমিরুল আলম মিলন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বান্দরবানে ১৪০তম রাজপূন্যায় উৎসবে সেতু মন্ত্রী
মোঃ সাদাত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে জানান : সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন পার্বত্য এলাকার দুর্গম জনপদে সড়ক উন্নয়নসহ যে কোন কাজ করতে সেনাবাহিনী পারদর্শী। পাহাড়ে যেখানে মানুষ চলাচল করতে পারত না সেখানে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা পাহাড়ে অসংখ্য ব্রীজ, কালভার্টসহ অনেক বড় বড় সড়ক তৈরী করে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে আলীকদম-থানচি দুর্গম সড়কসহ পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে সেতু মন্ত্রী বলেন পার্বত্যবাসীর যেকোন সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক।
তিনি গতকাল বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী উপজাতীয়দের খাজনা আদায়ের অনুষ্ঠান ১৪০তম রাজপূন্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্বত্য এলাকার শান্তির জন্য শান্তি চুক্তির অপরিহার্য ধারাগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। খালেদা জিয়ার উকিল নোটিশকে আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে উল্লেখ করে সেতু মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রদেয় উকিল নোটিশ প্রমাণ করতে না পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিএনপি’র মধ্যবর্তী নির্বাচনের আবদারকে হাস্যকর ও পাগলের প্রলাপ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। রাজপূন্যায় রাজার দর্শন প্রজাদের জন্য আর্শিবাদ। অনুষ্ঠানে রাজা উচপ্রæ চৌধুরী রাজার সৈন্য ও তাঁর নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে সিংহাসনে আরোহণ করেন। এ সময় প্রজারা রাজাকে স্বাগত জানায়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজাগণ রাজার কাছে খাজনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক এম,পি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বান্দরবান আসনের এম,পি বীর বাহাদুর উশৈসিং, চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার পিএসসি, বান্দরবান সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন পিএসসি, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, বান্দরবান ১২ বেঙ্গলের সিও লে. কর্ণেল মশিউর রহমান, আলীকদমের সি,ও লে. কর্ণেল মাহাবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। বান্দরবানের রাজা প্রকৌশলী উচপ্রু অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। উল্লেখ্য যে, ১৮৭৬ সাল থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১০৯টি মৌজা ও হেডম্যান, কারবারীদের নিয়ে বোমাং রাজার অবস্থান। প্রতি বছর শীতের তিথিতে বান্দরবানে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এ কর ও খাজনা আদায়ের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। রাজপূন্যাহ উপলক্ষে বান্দরবানে চার দিনব্যাপী লোকজ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। রাজপূন্যাহকে ঘিরে বান্দরবানকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। দেশী বিদেশী পর্যটকসহ বান্দরবানের প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।