নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
![img_img-1719553723](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678440025_nnn.jpg)
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম দিন বোলারদের তান্ডবে ঢাকাকে মাত্র ১১৩ রানে বেধে ফেলেছিল খুলনা বিভাগ। এবার আব্দর রাজ্জাকের দল ঢাকাকে শেখাচ্ছে কিভাবে ব্যাট করতে হয়। শাহাদাত-শুভাগতদের উপর স্টিম রোলার চালিয়ে ১ উইকেটে ৩৭০ রান তুলে ফেলেছে খুলনা। ৯ উইকেট হাতে নিয়েই এখনই লিড ২৫৭ রানের। হ্যাটট্রিক শিরোপা মনে হয় জিতেই নিল খুলনা।
ব্যাট হাতে খুলনাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আনামুল হক ও মেহেদী হাসান। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দুজনই হাঁটছের দ্বিশতকের দিকে। ২৮১ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছন্ন আছেন দুজন। ৪৯.১ ওভারের জুটিতে রান তুলেছেন ওভারপ্রতি প্রায় পৌনে ছয় করে। ২৩ রান ও ১০ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করেছিল খুলনা।
আগের দিনের মত কালও ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ ঘন কুয়াশার কারণে দেরিতে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে আগেভাগেই। তবে বিরুপ আবহাওয়া খুলনার ব্যাটিংকে ধোয়াশায় ফেলতে পারেনি। ঢাকার বোলারদের রীতিমত তুলোধুনা করে তারা রান তুলেছে ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে পাঁচ করে। ঢাকার সফলতা বলতে দীর্ঘদিন পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে নামা সৌম্য সরকারের (৩০) উইকেটটি। এর জন্যও ঢাকাকে অপেক্ষা করতে হেয়ছে ১৯ ওভার।
দিনের বাকি গল্পটা কেবলই আনামুল ও মেহেদীকে ঘিরে। দুজনই ব্যাট করছেন যথাক্রমে ১৬৭ ও ১৬৮ রান নিয়ে। দুজনই ব্যাট চালিয়েছেন সপাটে। সবচেয়ে বড় তোপ ঝেড়েছেন পেসার শাহাদাত হোসেন ও দেওয়ান সাব্বিরের উপর। শাহাদান ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮৩ রান, ৬ ওভারে ৪৭ দিয়েছেন দেওয়ান। শুভাগতও ১২ ওভারে গুনেছেন ৭০ রান। প্রত্যেকেই ছিলেন উইকেটশূন্য। ২০৬ বলে ১৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১৬৭ রান করে অপরাজিত আছেন ওপেনার আনামুল। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি তার ১৪তম শতক। মেহেদীর ব্যাট ছিল আরো তেজী। রীতিমত টি-২০ স্টাইলে ১৫১ বলে ২০ চার ও ২ ছক্কায় ১৬৮ রানের হার না মানা ইনিংটি সাজান তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে বরিশালের ৩৩৫ রানের জবাব দিচ্ছে রংপুর বিভাগ। ৪ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। ১৬৭ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত আছেন নাসির হোসেন। এখনো তারা ৭১ রানে পিছিয়ে। চট্টগ্রামে তাদের ম্যাচে অবশ্য প্রকৃতির বাধা ছিল না।
দ্বিতীয় স্তরের দুই ম্যাচেই ছিল কুয়াশার হানা। এরপরও দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক সিলেটের বিপক্ষে জয় দেখছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে স্বগতিকদের ১৩৭ রানে গুটিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করেছে চট্টগ্রাম। সিলেটের কোন ব্যাটসম্যানই ত্রিশোর্ধো স্কোর গড়তে পারেনি। আসলে গড়তে দেননি দুই স্পিনার ইফতেখার সাজ্জাদ ও মেহেদী হাসান রানা। ইফতেখার ৪৩ রানে নেন ৫ উইকেট, ৩০ রানে ৩টি নেন মেহেদী।
জবাবে দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ও জসিমুদ্দিনের জোড়া ফিফটিতে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ২৬৭ রানে এগিয়ে দিন শেষ করে মুমিনুল হকের দল। পর পর দুই বলে সাজ্জাদ ও তাসামুলকে আউট করেন এবাদত হোসেন।
নাটকীয় কিছু না হলে রাজশাহীতে স্বাগতিক ও ঢাকা মেট্রোপলিটনের মধ্যকার ম্যাচটি গড়াচ্ছে নিরুত্তাপ ড্রয়ের দিকে। ৪ উইকেটে ২১০ রানে দিন শুরু করা মেট্রো প্রথম ইনিংসে করে ৩২৮ রান। তাইজুল ইসলাম নেন ১০৫ রানে ৫ উইকেট। জবাবে ২০ ওভার ব্যাট করে কোন উইকেট না হরিয়ে ৯৫ রানে দিন শেষ করে রাজশাহী। ফিফটির কাছাকাছি থেকে অপরাজিত আছেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
১ম স্তর
ঢাকা-খুলনা
ঢাকা ১ম ইনিংস : ১১৩
খুলনা ১ম ইনিংস : ৬৮ ওভারে ৩৭০/১ (এনামুল ১৬৭*, সৌম্য ৩০, মেহেদি ১৬৮*; শরীফ ১/৪১, শাহাদাত ০/৮৩, শুভাগত ০/৭০, নাজমুল ০/১১২, সাব্বির ০/৪৭, তাইবুর ০/১৪)।
বরিশাল-রংপুর
বরিশাল ১ম ইনিংস : ৯৩.৫ ওভারে ৩৩৫ (আল-আমিন ৫০, নুরুজ্জামান ৫৮, সোহাগ গাজী ৯৯; সুভাশিস ৩/৫৪, আরিফুল ৩/৬৮, তানভির ৩/৫৩)।
রংপুর ১ম ইনিংস : ৭৬ ওভারে ২৬৪/৪ (লিটন ৪৩, নাঈম ৫৪, নাসির ১০১*, আরিফুল ৩৪*; মনির ৩/৬৯, সালমান ১/১৬)।
২য় স্তর
চট্টগ্রাম-সিলেট
চট্টগ্রাম : ২১৫ ও ৫৪.৪ ওভারে ১৮৯/৫ (সাদিকুর ৫৪, জসিমুদ্দিন ৫৬, ইয়াসির ১৪*, সাঈদ ১৩*; এবাদত ২/৪২, আবুল হাসান ১/৪৪, শাহানুর ১/৪৩)।
সিলেট ১ম ইনিংস : ৪৯.৪ ওভারে ১৩৭ (সায়েম ২৬, রাজিন ২৬, আবুল হাসান ২৭; ইফতেখার ৫/৪৩, মেহেদী ৩/৩০)।
ঢাকা মেট্রো-রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ৯০.৩ ওভারে ৩২৮ (সাদমান ৭৫, মার্শাল ৬৭, মেহরব জুনি. ৩৯, জাবিদ ৩৬; তাইজুল ৫/১০৫, ফরহাদ রেজা ৩/৫৭, শফিউল ২/৭১)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ২০ ওভারে ৯৫/০ (শান্ত ৪৩*, মিজানুর ৪৭*)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।