পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের কবল থেকে বাঁচার জন্য ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা চরম অসহায়। মানবিকতায় বাংলাদেশ সরকার নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনীর কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো এবং নিরাপদে বসবাসের জন্য আর্ন্তজাতিক সব মহলের পক্ষ থেকে একযোগে কাজ করা জরুরি। গতকাল বুধবার দুপুরে (২০ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা গুলো বলেছেন তিনি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার পরে বিমানে কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি সারাসরি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। তিনি সেখানে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন এবং রোহিঙ্গা রোগীদের জন্য দুটি এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন। সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন। এর পর কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
এসময় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসাইন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী রবিন, উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মারমাসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম তিন দিনের সরকারি সফরে সোমবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মারক হিসেবে একটি চারাগাছ রোপণ করেন। এছাড়াও তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাদুঘরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোহিঙ্গাসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ইতোপূর্বে তুরস্কের পাষ্টলেডী প্রেসিডেন্ট এরদুগান স্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছিলেন। সেই থেকে এপর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।