Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাখাইনে পরিকল্পিত গণহত্যা চালিয়েছে মিয়ানমার সরকার -জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক রাখাইনে রোহিঙ্গা হত্যাকে ফের গনহত্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এটি মিয়ানমার সরকারের পরিকল্পিত একটি গণহত্যা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে শুরু থেকে আমি তা বলছি। প্রথমে বিশ্ববাসী বুঝতে চায়নি। এখন ধীরে ধীরে বিশ্ব নেতারা বুঝতে শুরু করেছেন। কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখবে। এরপরও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে। গতকাল বুধবার জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বন্ধু সোসাইল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওর্য়াড প্রদান তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এবং সাংবাদিক রুমি নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, চার বছর পার হলেও বৈষম্য নিরোধ আইন প্রণয়নের কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এখনও আইনটি পাশ না হওয়ায় তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি পাওয়ার পরও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি কমছে না। হিজরা সম্প্রদায়ের সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের বঞ্চনা-নির্যাতনকারীদের শাস্তি দিতে হলে অবশ্যই এই আইন পাশ করা জরুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগান্তরের চীফ নিউজ এডিটর আবদুর রহমান বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার আদায়ে হিজড়া সম্প্রদায়কে আরও সোচ্চার হতে হবে। সামাজিক ভাবে আন্দোলন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক ইনকিলাবের ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউর রহমান সোহাগ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত হিজড়া ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠির মানবাধিকার এবং জীবনমানের উন্নয়নে সরকারকে পৃথকভাবে নজড় দেওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে হিজড়ারা নানান অপকর্মে জড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হলে তারা এসব থেকে দূরে থাকবে। তিনি বৈষম্যের স্বীকার হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে কাজ করা বন্ধু সোসাইল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটিকে (বন্ধু) ধন্যবাদ জানান। পাশপাশি সমাজের সকলকে হিজড়াদের সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার আদায়ে পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।
মাছরাঙা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশরাফুল হক হিজড়াদের অধিকার আদায়ে নিজেদেরকে আরও সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বন্ধু সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির (বন্ধু) নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান, স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত কাজ করা মোট ১৩ জন সাংবাদিককে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ফেলোশিপ শেষে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে পুরষ্কার পান দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেল, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজান চৌধুরী এবং আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার হাসান আল জাভেদ। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এটিএন বাংলা’র স্টাফ রিপোর্টার মাহবুব কবীর চপল, এসএ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার বাদশা মিয়া, এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরাফাত আলী সিদ্দিক, এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার শুল্কা সরকার, মাছরাঙ্গা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ওবায়দুল কবীর, বাংলাভিশনের স্টাফ রিপোর্টার দীপন দেওয়ান, বিটিভি’র রিপোর্টার আফরিন জাহান, চ্যানেল ২৪ এর বিজনেস রিপোর্টার ইমদাদুল হক, মোহনা টিভি’র স্টাফ রিপোর্টার ফারহানা হক নীলা ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির উত্তরা অঞ্চল প্রধান হাসিবুর রহমান বিলু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ