পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হজ গ্রুপ লিডার ও হজ এজেন্সি’র মালিকের মধ্যে হজের টাকা পরিশোধ নিয়ে দ্ব›েদ্বর জের ধরে আদালতে মামলা হওয়ায় বর্তমানে আবাবিল ইন্টারন্যাশনাল হজ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লিমিটেডে’র মালিক মুফতী আব্দুল মালেক ও তার ম্যানেজার নাসির উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলা করাগারে রয়েছে। এ নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প শোনা যাচ্ছে। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার তাউসি গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাবেক ইমাম মাওলানা জুনাইদ আহমদ সম্প্রতি হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (কগ-২) আদালতে মুফতী আব্দুল মালেক ও তার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সি আর মামলা (নং-৪৪৯/১৭ ইং) দায়ের করেন। গত ১০ ডিসেম্বর আবাবিল হজ এজেন্সি’র মালিক মুফতী আব্দুল মালেক ও তার ম্যানেজার নাসির উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলা জুডিসিয়াল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের জামিন নামঞ্জুর করে হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করেন। গত রোববারও আদালতে তাদের জামিন চাওয়া হলে তা’ নামঞ্জুর করা হয়।
ঢাকার সায়েদাবাদ জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও আবাবিল ইন্টারন্যাশনাল হজ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লিমিটেডে’র গ্রুপ লিডার মাওলানা জুনাইদ আহমদের মাধ্যমে গত হজে ৫৮/ দক্ষিণ সায়েদাবাদের হজযাত্রী আব্দুল গফুর তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম,৪৩/ বি, দক্ষিণ সায়েদাবাদের আবু বকর সিদ্দিক এবং শরিয়তপুরের পশ্চিম ভাষান চরের রেজাউল করিম আবাবিল হজ এজেন্সি’র পার্টনার মিডওয়ে হজ এজেন্সি’র মাধ্যমে হজে যান। গ্রুপ লিডার জুনাইদ আহমদেরও মিডওয়ে হজ এজেন্সি’র মাধ্যমে হজ ভিসা করানো হয়। জুনাইদ তার উল্লেখিত চার জন হজযাত্রীর সাথে এ-প্যাকেজে হজে যাওয়ার জন্য আবাবিল হজ এজেন্সিতে কয়েক দফায় তিন লাখ ষাট হাজার পরিশোধ করে বলে জানান। আবাবিল হজ এজেন্সি’র কম্পিউটার অপারেটর আব্দুন নূর গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের গ্রæপ লিডার জুনাইদ আহমেদ গত হজের শেষ দিকে তার চারজন হজযাত্রীকে আমাদের সহযোগি হজ এজেন্সি মিডওয়ের মাধ্যমে হজে পাঠায়। সে উল্লেখিত হজযাত্রীদের হজ প্যাকেজের সকল টাকা তার নামেই জমা দিয়ে রিসিট কেটে নেয়। কিন্ত তার কাছে হজ প্যাকেজের বকেয়া পাওনা থাকায় সে হজে যেতে পারেনি। চার জন হাজীর পুরো টাকা পরিশোধ না করে গ্রুপ লিডার মাওলানা জুনাইদ আহমেদ বর্তমানের মুরগি বিক্রির দোকান দিয়েছেন বলেও আব্দুন নূর দাবী করেন। সায়েদাবাদের উল্লেখিত হাজী আব্দুল গফুর রাতে ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের চার জন হাজীর গ্রুপ লিডার মাওলানা জুনাইদ আহমেদকে হজ এজেন্সি’র মালিক আব্দুল মালেক হজে না নেয়ায় আমরা হজে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। তিনি বলেন, মক্কা-মদিনায় আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি হজ এজেন্সি’র মালিক আব্দুল মালেক। মক্কা-মদিনার দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। গ্রুপ লিডার মাওলানা জুনাইদের মাধ্যমে তিনি আবাবিল হজ এজেন্সি’র মালিক আব্দুল মালেকে জনপ্রতি ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন। হাজী রেজাউল করিমও জুনাইদের মাধ্যমে মিডওয়ের ব্যবস্থাপনায় গত হজে গিয়েছেন বলে জানান। মাওলানা জুনাইদ আহমেদ বলেন, আমি এ-প্যাকেজে হজে যাওয়ার জন্য তিন লাখ ষাট হাজার টাকা আবাবিলে জমা দিয়েছে। আবাবিল হজ এজেন্সির গ্রুপ লিডার ছিলেন না বলেও তিনি দাবী করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।