Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা

| প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রংপুর জেলা সংবাদদাতা : রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ২দিন বাকি। আগামী বৃহস্পতিবার রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচন নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে ততই উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়ছে। এই উৎকণ্ঠা তৈরি হচ্ছে মূলত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী/সমর্থকদের কারণে। মেয়র প্রার্থীদের কর্মী/সমর্থকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা না ঘটলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী/সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব কারণে আসন্ন ভোট নিয়ে ভোটারদের মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা তৈরী হচ্ছে। ভোটের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। এবার ১’[শ ৯৩ কেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে। তার মধ্যে ১’শ ২৮ কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনকে এসব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ২’শ ৭৬ জন প্রার্থী। এসব প্রার্থীদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আর এ কারণে কর্মী/সমর্থকদের মাঝে বরাবরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে চলেছে। ভোটারদের মাঝেও উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, ভোট নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটের দিন কেন্দ্র ও নিকটবর্তী এলাকায় কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকবে। গত শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবেদ আলীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটে। এজন্য তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে দুষছেন।
তার দুই দিন আগে বৃহষ্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এজন্য তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান তরুকে দায়ী করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটারদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করছেন। অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগও করছেন তারা। তবে এ বিষয়ে ভোটারদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।
নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুখা এলাকায় গত পরশু রাতে সেখানকার এক ভোটারকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ভোটার এই তথ্য নিশ্চিত করলেও ভয়ে তার নাম প্রকাশ করতে চাননি। একইভাবে নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডেও চলছে হুমকি-ধামকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেবো। কিন্তু এখনই যে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাতে আমার সন্দেহ হচ্ছে যে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারব কি না।’
ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও এসব অভিযোগ এখন পর্যন্ত প্রশাসনের দরজায় যায়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটানিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় তার কাছে সহিংসতার কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, যে সংঘর্ষটি হয়েছে তা ফৌজদারি অপরাধ। সেটি নির্বাচন কেন্দ্রিক কি না তা খোঁজ নিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি কর্পোরেশন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ