পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের দাফন গতকাল রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সম্পন্ন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এই এমপিকে জেলার নাসিরনগর থানার পূর্বভাগ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পূর্বভাগ গ্রামে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ছায়েদুল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর এই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয় ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে। সেখানে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আশপাশের অধিবাসীরাও তাঁর জানাজায় অংশ নেন। প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজার আগে ছায়েদুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। ছায়েদুল হকের কফিন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে আসার পর তার একমাত্র ছেলে ডা. এসএম রায়হানুল হক রীতি অনুযায়ী সমবেতদের কাছে বাবার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ছায়েদুল হকের মত নেতার স্থান পূরণ করা সম্ভব নয়। তার এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর মত নেতার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হল। তার সততা ছিল প্রশ্নাতীত। ছায়েদুল হক এমন নেতা ছিলেন, যার বাড়িতে এখনও টিনের ঘর। ক্ষমতায় থাকার কোনো মোহ বা লোভ ছাড়াই তিনি রাজনীতি করে গেছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন জানাজায়। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ছায়েদুল হকের লাশ বহনকারী হেলিকপ্টার নাসিরনগর ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবতরণ করে। সেখানে বেলা একটায় ছায়েদুল হকের দ্বিতীয় জানাজা নাসিরনগর উপজেলা সদরের আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সম্পন্ন হয়। এখানকার জানাজায় জেলা ও উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। জানাজায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের এমপি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের এমপি আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের এমপি এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লার এমপি আবদুল মতিন খসরু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি জিয়াউল হক মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবীরসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এলাকায় মন্ত্রীর ছেলে ডা: রায়হানুল হক তাঁর বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। ছায়েদুল হক ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৬ ডিসেম্বর সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার পূর্বভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।