নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পর্দা নেমেছে জমকালো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই আসরে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে লড়াইয়ের পর এবার আবারও সময় এসেছে মাশরাফি-সাকিবদের দেশের হয়ে এক সাথে লড়াই করার।
স্বাগতিক বাংলাদেশের সাথে শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়ের অংশগ্রহণে আসছে নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। দীর্ঘ ৮ বছর পর বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সিরিজ দিয়েই আগামী বছর শুরু করবে বাংলাদেশ। এই তিন জাতি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছেন নির্বাচকরা।
আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে হোম অব ক্রিকেট শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট। আর ২৭ জানুয়ারি ওই আসরের ফাইনালের পর শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার হোম সিরিজ। ৩১ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু প্রথম টেস্ট। তাই দিন দশেক বিশ্রামে কাটবে বাংলাদেশের। তারপর আবার শুরু হবে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট ও লঙ্কানদের সঙ্গে হোম সিরিজের প্রস্তুতি। কবে, কখন জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু? সবই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি। যথারীতি ফিজিক্যাল টেস্ট ও ফিটনেস ট্রেনিং দিয়েই শুরু অনুশীলন।
যেহেতু আগে তিন জাতি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট এবং ওই আসর শেষ হবার মাত্র চারদিন পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, তাই আলাদা আলাদা প্রস্তুতির কোন সুযোগ নেই। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু গতকাল জাতীয় দলের প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা একবারে তিন জাতি আসর, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করতে চাচ্ছি। আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুরু প্রস্তুতি। যা শুরু হবে ফিটনেস টেস্ট দিয়ে। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের ফিটনেস লেভেল খুঁটিয়ে দেখে তারপর শুরু হবে মূল প্রস্তুতি।’
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আরও জানান, যেহেতু তিন জাতি, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ একদম পরপর হবে, তাই আর আলাদা আলাদা দল ডেকে অনুশীলনের সময়ই থাকবে না। সে কারণেই প্রস্তুতি একসঙ্গে শুরু হবে। তিন ফরম্যাটের অনুশীলন এক সঙ্গে শুরু হলেতো ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশী থাকবে? প্রধান নির্বাচকের জবাব, ‘হ্যাঁ, তা তো থাকবেই। আমরা ৩০-৩২ জনকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাকবো। প্রাথমিক ক্যাম্পের দল ঘোষণা ২১ ডিসেম্বর। সেখান থেকে প্রথমে তিন জাতি টুর্নামেন্ট, তারপর পর্যায়ক্রমে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের মূল দল বেছে নেয়া হবে।
দলে কি তেমন কোন নতুন মুখ থাকবে? এমন প্রশ্নর জবাবে মিনহাজুল আবেদিন স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তার কথায় বোঝা গেছে, ওয়ানডে আর টেস্ট দলে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা নেই তাদের। ওই দুই ফরম্যাটের দলে সে অর্থে আনকোরা নতুন কারো অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা খুব কম। তবে টি-টোয়েন্টি দলে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। তারা কারা? এ প্রশ্নর জবাবে মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘আমরা বিপিএলে ভালো খেলা চার-পাঁচজনকে ক্যাম্পে ডাকবো। তারপর ক্যাম্পে তাদের পারফরমেন্স দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
তবে দল নিয়ে মিনহাজুল একটা কথাই পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে কিছু রদ বদলের কথা ভাবছি। কিছু জায়গায় নতুন কাউকে নেয়ার চিন্তাও চলছে। তবে তারা কারা, এ ব্যপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেন নি নান্নু। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রংপুরের টপ অর্ডার মোহাম্মদ মিঠুন, কুমিল্লার অফস্পিনার মেহেদি হাসান, দুই পেসার আবু হায়দার রনি আর আবু জায়েদ রাহি, চিটাগং ভাইকিংসের টপ অর্ডার এনামুল হক বিজয়ের ক্যাম্পে ডাক পাবার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ।
এর বাইরে খুলনা টাইটান্সের মিডল অর্ডার আরিফুল ও রাজশাহীর কিপার মিডল অর্ডার জাকির হাসানকে অনেক কথা বার্তা হলেও প্রধান নির্বাচককে তাদের ব্যাপারে তেমন উৎসাহী মনে হয়নি। তারপরও আরিফুল ও জাকিকের অন্তত একজনকে প্রাথমিক দলে দেখা যেতে পারে। নিকট অতীত ও সা¤প্রতিক সময়ের সব জাতীয় ক্রিকেটারকে প্রাথমিক ক্যাম্পে থাকা এক রকম নিশ্চিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।