নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ অ্যালিস্টার কুক। দলের সবচেয়ে বড় তারকার এই ব্যর্থতাকেই পুরো অ্যাশেজে ইংল্যান্ডে চিত্র ভাবতে পারেন। প্রথম ইনিংসে চারশর্ধো রান করেও পার্থ টেস্টের সঙ্গে সিরিজ হারেরও দ্বারপ্রান্তে জো রুট বাহিনী। আজ শেষ দিনে ইনিংস হার এড়াতেই তাদের করতে হবে ১২৭ রান, হাতে মাত্র ৬ উইকেট।
ওয়াকায় দেড়শতম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন কুক। এমন মাইলফলকের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭ রানের পর এবার আউট হলেন ১৪ রান করে। অস্ট্রেলিয়া সফরে ৬ ইনিংসে তার মিলিত রান ৮৩। কাল দলীয় ২৯ রানে যখন জস হ্যাজেলউডের বলে তারই দুর্দান্ত ক্যাসে পরিণত হয়ে ফেরেন তার আগে আরেক ওপেনার স্টোনম্যানকেও বিদায় করেছেন হ্যাজেলউড। দলের আরেক ব্যাটিং স্তম্ভ জো রুটও ব্যর্থতার ধারা বজায় রেখে আউট হন ১৪ রান করে। চা বিরতির আগেই নেই ৩ উইকেট। ভিন্সের ব্যাটে ছিল প্রতিরোধের আভাস। কিন্তু তিনিও বিদায় নেন ফিফটি পূর্ণ করেই। ম্যাচ বাঁচাতে এখন তারা তাঁকিয়ে প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোর দিকে। ৩২ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা।
ক্ষণিক সময়ের জন্যে হলেও কাল অজিদের কপালে ভাজ তুলে দিয়েছিল বেরসিক বৃষ্টি। চা বিরতির খানিক আগে যখন এই অনাহুত হাজির হন ইংল্যান্ড ইনিংসে তখন ৩ উইকেটে ৭১ রান। আজও নিশ্চয় তারা ম্যাচ বাঁচাতে আকাশের দিকে চেয়ে থাকবে।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই ৯ উইকেটে ৬৬২ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। গত ৭১ বছর পর দেশের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে যা তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সর্বশেষ ১৯৪৬ সালে অ্যাশেজ সিরিজে সিডনি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৫৯ রান সংগ্রহ করিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালের পর অ্যাশেজের কোন ইনিংসে ৬শ’ বা তার বেশি দলীয় সংগ্রহও এটি। সব মিলে ঘরের মাঠে এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটাও এই পার্থেই, ২০০৩ সালে ৬ উইকেটে ৭৩৫।
৪ উইকেটে ৫৪৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া দিনের দ্বিতীয় বলেই হারায় অপরাজিত ১৮১ রানে দিন শুরু করা মিশেল মার্শকে। চার ওভার পরে বিদায় নেন আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। অজি দলপতি এদিন যোগ করেন ১০ রান। তার আগে টেস্টের সেরা ব্যাটসম্যান তার ২৩৯ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংটি সাজান ৩৯৯ বলে ৩০ চার ও ১ ছক্কায়। এরপরও তারা সংগ্রহটা বাড়িয়ে নিতে পারে টিম পাইন ও প্যাট কামিন্সের দুটি চল্লিশোর্ধো ইনিংসের কল্যাণে।
আগের দিন উইকেটশূন্য থাকা জেমস অ্যান্ডারসন এদিন নেন ৪ উইকেট। তবে অ্যান্ডারসনের কল্যাণেই টেস্ট ইতিহাসে অষ্টমবারের মত এক ইনিংসে ৫ বোলারের একশোর্ধো রান খরচের সাক্ষি হয়েছে ইংল্যান্ড। বল হাতে আগের দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন স্ট্রয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকস, ক্রিস ওভারটন ও মঈন আলী। কাল তাদের সঙ্গে যোগ দেন অ্যান্ডারসন।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষবার ধবলধোলাই হয়েছিল ইংল্যান্ড। ৫ ম্যাচের সিরিজে এবারো কিন্তু সেই পথেই হাটছে ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড : ৪০৩ ও ৩৮.২ ওভারে ১৩২/৪ (কুক ১৪, স্টোনম্যান ৩, ভিন্স ৫৫, রুট ১৪, মালান ২৮* বেয়ারস্টো ১৪*; হ্যাজেলউড ২/২৩, স্টার্ক ১/৩২, লায়ন ১/২৮)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১৭৯.৩ ওভারে ৬৬২/৯ডি. (স্মিথ ২৩৯, মার্শ ১৮১, পাইন ৪৯*, কামিন্স ৪১; অ্যান্ডারসন ৪/১১৬)।
*চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ইনিংস ও ১২৭ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।