মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পৃথিবীকে নিজেদের মতো করে সাজাতে নিত্যনতুন প্রযুক্তি পণ্য কিংবা হস্তপণ্য তৈরি করে চলেছে একদল মানুষ। বাহাবাও কুড়াচ্ছেন ব্যবহারকারী আরেকদল মানুষের। কেউবা আবার প্রাণের উৎস, সভ্যতার বিকাশ জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। এই সৃষ্টি-প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু যে ধ্বংস হতে চলেছে, সেটাও নতুন কিছু নয়। পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ নেই। কিন্তু ক্ষমতার জায়গায় প্রত্যেকে অটল। ফলে প্রচেষ্টাগুলো এগোয় ভীষণ ধীরগতিতে। একদিকে উষ্ণতা বাড়ছে, অন্যদিকে সমানতালে বাড়ছে সমুদ্রের স্তর। পৃথিবীর জন্য এই অশনিসংকেতের মধ্যে আরেক সংকেত নিয়ে হাজির হয়েছেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ৬০০ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে পৃথিবী। ২৬০০ সাল নাগাদ এই দুনিয়া পরিণত হবে বিশাল এক আগুনের গোলায়, সৃষ্টিজগত পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। স¤প্রতি বেইজিংয়ে এক সমাবেশে এই দাবি করেছেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শক্তির ব্যবহার। পরিণামে ঘনিয়ে আসছে বিশ্বের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময়। সমাবেশে হকিং যে কেবল ধ্বংস হওয়ার কথাই বলেছেন, এমনটা নয়। সঙ্গে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সমাধান একটাই। মানুষকে পৃথিবীর বাইরে তাকাতে হবে। এমন গ্রহে বসতি স্থাপনের কথা ভাবার সাহস করতে হবে, যেখানে আগে মানুষের পায়ের চিহ্ন পড়েনি। দীর্ঘদিন ধরে হকিংয়ের পরিকল্পনা, এই সৌরজগতের বাইরে নিকটতম সৌরজগতে সফর করার। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে চান মানুষের জীবনধারণের উপায় আছে কিনা। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এই সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র ‘আলফা সেন্টাউরি’। পৃথিবী থেকে ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সম্ভবত এই আলফা সেন্টাউরির মধ্যে পৃথিবীর মতো গ্রহ রয়েছে, যাতে প্রাণীজগতের বসবাস সম্ভব। হকিংয়ের ইচ্ছা, ছোট কোনো মহাকাশযানে করে এখনই আলোর গতিতে ওই আলফা সেন্টাউরিতে পাড়ি দেয়ার। যাতে ২০ বছরের মধ্যে সেখানে পৌঁছানো যায়। তিনি মনে করেন, সে রকম একটি মহাকাশযান মঙ্গলে পৌঁছে যাবে এক ঘণ্টারও কম সময়ে, কয়েকদিনের মধ্যে প্লুটোতে। নাসার ভয়েজারের পাশ দিয়ে যাবে এক সপ্তাহের মধ্যে, ২০ বছরের মধ্যে ছুঁয়ে ফেলবে আলফা সেন্টাউরি। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক, এখান থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে সত্যিই সেখানে বসতি গড়া সম্ভব কিনা। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।