Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোয়ায় যৌন ব্যবসায়ও আধার কার্ড

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ব্যাংক বা মোবাইল কোম্পানিতে ভারতীয় প্রমাণের জন্য এতদিন আধার কার্ড চাওয়া হতো। কিন্তু এখন সেখানে দেহ ব্যবসায়ও ব্যবহৃত হচ্ছে এই কার্ড। কোনো আগন্তুক সেখানকার কোনো হোটেলে যদি অর্থের বিনিময়ে নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে তার কাছে চাওয়া হচ্ছে এই কার্ড। এ নিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতেই বলা হয়েছে, দেহ ব্যবসায় জড়িত চক্র এসব আধার কার্ড চেক করে তবেই নারীদের পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট খদ্দেরের কাছে। অনেক স্থানে এটা একরকম বাধ্যতামূলক করেছে তারা। এর উদ্দেশ্য পুলিশি ঝামেলা এড়ানো বা কোনো নারীকে হোটেলে নিয়ে হত্যা করা প্রতিরোধ করা। স¤প্রতি দিল্লি থেকে পাঁচ যুবকের একটি দল সেখানে এক বন্ধুর দেয়া পার্টিতে যোগ দেন। তারা অবতরণ করেন গোয়া। সেখানে গিয়ে নর্থ গোয়া সৈকতে একটি হোটেলে ওঠেন। এক পর্যায়ে তারা অর্থের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করেন। তাদের কাছে পাঁচজনের জন্য পাঁচজন সুন্দরী যুবতী পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই অন্যপ্রান্ত থেকে কল আসে। তাদেরকে বলা হয়, তাদের মোবাইল ফোনের ভেরিফাই করে দেখেছে তারা। এর মধ্য দিয়ে তারা নিশ্চিত হতে চেষ্টা করেছে যে, এই পাঁচ যুবক কি সত্যি দিল্লি থেকে গিয়েছে কিনা। তাদের কাছে তাদের আধার কার্ডের ছবি তুলে তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলা হয় প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করতে। একই সঙ্গে আরো দাবি দেয়া হয়। বলা হয়, তারা যে হোটেলে উঠেছে সেখানকার রুমের চাবির ছবিও দিতে হবে। ওই চাবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হোটেলের হোটেল ট্যাগও যেন তাতে দেখা যায়। তখন ওই যুবকদের মধ্যে শারীরিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তারা কথামতো কাজ করলো। অন্যদিক থেকে এসব যুবকের ব্যাকগ্রাউন্ড সব চেক করা হয়ে গেল। হোটেলটির আশপাশের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য তালাশ করা হলো। পরীক্ষা করে দেখা হলে অত্যাসন্ন কোনো বিপদ আছে কিনা সেখানে। এখানে বিপদ বলতে পুলিশি হস্তক্ষেপের বিষয় বোঝানো হয়েছে। তারা গোয়া’তে যৌন ব্যবসা বন্ধে কাজ করছে। তাই পুলিশের নাগালের বাইরে থেকে এজেন্ট ও দালালরা কাজ করে যায়। তারা নিরাপত্তার স্বার্থে খদ্দেরদের আধার কার্ড যাচাই করে। নিশ্চিত হয়ে নেয় যে, পুলিশের কোনো স্পাই নয় এসব খদ্দের। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এক্ষেত্রে যৌন ব্যবসা চক্রে যারা জড়িত তারা চলে অন্য হিসাবে। তারা একসঙ্গে অনেক মেয়েকে পাঠায় না। কারণ, তারা জানে একসঙ্গে যদি তাদের ৫ থেকে ১০ জনকে পাঠানো হয় আর একটি ঘেরাওয়ে তারা ধরা পড়ে তাহলে তাদের পুরো উপার্জনের পথ ধ্বংস হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিনিয়তই গোয়া যাচ্ছেন পর্যটকরা। তাদের সামনে এসকর্ট বা কলগার্ল সার্ভিসগুলো যুবতীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নানা লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এসব প্রস্তাবে যেসব পর্যটক সাদা দেন তাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই প্রতারণার শিকার হন। অনেক সময় একটি ব্যালকনিতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় কোনো এক যুবতীকে। তিনি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাত নাড়েন খদ্দেরের উদ্দেশে। তাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন খদ্দের। ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন তার কাছে। বিনিময়ে এ চক্রকে আগেভাগেই পরিশোধ করতে হয় ৪০০০ রুপি। এরপরেই ওই পর্যটককে উপরে উঠে রুমে যেতে বলা হয়। তিনি উপরে উঠে যখন দরজায় নক করেন, ভিতর থেকে কোনো সাড়া আসে না। দরজায় তার নক করার শব্দে আশপাশের এপার্টমেন্টের লোকজন ছুটে এসে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। ওই পর্যটককে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ