নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গভীর শ্রদ্ধায় শহীদ জুয়েল-মুশতাক স্মরণ
যেখানে হারে না কেউ
স্পোর্টস রিপোর্টার : এর আগেও এই মাঠে এসেছেন বহুবার। জাতীয় দল কিংবা ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলেছেনও বহু ম্যাচ। তবে একটি জার্সি তাদের গায়ে জড়ালেই যেন প্রত্যেকে হারিয়ে যান বেদনার এক অতীতে। এক দলের জার্সিও রং সবুজ, আরেক দলের লাল। গতকাল দুইয়ে মিলিয়ে লাল-সবুজের সমারহ মিরপুর শের-ই-বাংলায়। ২২ জনের দল দুটিকে মনে হচ্ছিল একগুচ্ছ বাংলাদেশ।
এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির জন্ম। আমরা সেই বীরের জাতি যারা নয় মাস নিজের দেশকে বাঁচানোর জন্যে লড়েছি। এই নয় মাসে আমরা হারিয়েছি লাখো শহীদদের। মহান বিজয়ের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের বিন¤্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে গোটা জাতি। তাঁদের মধ্য ছিলেন দুজন ক্রিকেট সংগঠক শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মুস্তাক আহমেদ। আজাদ বয়েজ ক্লাবের অন্যতম প্রধান সংগঠক শহীদ মুশতাক ২৫ মার্চের কালো রাতে শহীদ হন। আর শহীদ জুয়েল মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র হাতে লড়াই করে শহীদ হন। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে ১৯৭২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মধ্য দিয়ে তাঁদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাবেক ক্রিকেটাররা দুই দলে ভাগ হয়ে গতকাল মিরপুরের ২২ গজে লড়েছেন ঐতিহ্যে রূপ নেওয়া ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক একাদশ নামে দুটি দলে খেলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন ও মোহাম্মদ রফিকরা। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় বিন¤্র শ্রদ্ধায় শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাককে স্মরণ করা হয়। খেলা শুরুর আগে নিরাবতা পালন করে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
এরপর শুরু হয় ক্রিকেটীয় যুদ্ধ। হার-জিতের হিসেব থাকে না যেখানে, সেই ম্যাচে ৪৬ রানে জয় তুলে নেয় শহীদ জুয়েল একাদশ। আগে ব্যাটিং করে শহীদ জুয়েল একাদশ ৩ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলে ১৭২ রান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন হান্নান সরকার। ৭১ রান করেন জাভেদ ওমর। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন ৩ ও এহসানুল হক সেজান ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন। হান্নান সরকার ৩৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংসটি সাজান। জাভেদ ওমর ৬২ বলে করেন ৭১ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মার।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শহীদ মুশতাক একাদশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানের বেশি করতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন আকরাম খান। ৩১ রান করেন হারুনুর রশীদ। বল হাতে জুয়েল একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আমিনুল ইসলাম।
বিজিবি-বিজেএমসিই সেরা
স্পোর্টস রিপোর্টার : খোকন-উদয়ন বিল্ডার্স বিজয় দিবস হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মহিলায় বিজেএমসি সেরার খেতাব জিতেছে। গতকাল দুপুরে শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে মহিলা বিভাগের ফাইনালে বিজেএমসি ২১-১৬ গোলে বাংলাদেশ আনসারকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। একই ভেন্যুতে বিকালে অনুষ্ঠিত পুরুষ বিভাগের ফাইনালে বিজিবি ৩২-২০ গোলে পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মহিলা বিভাগে বিজেএমসির শিরিনা ও পুরুষে বিজিবির তারেক। ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার বিতরণ করেন রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। এসময় বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল ফজল বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পুলিশের এআইজি (অ্যাডমিন) রখফার সুলতানা খানম ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।