মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি বড় জয় পেতে যাচ্ছে বলে বুথফেরত জরিপগুলোতে আভাস পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ভোট শেষে নরেন্দ্র মোদীর দল ১৮২টি আসনের মধ্যে ১১৬টির মতো আসন পেতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের ভাগ্যে জুটছে ৬৫টির মতো আসন। বুথফেরত জরিপের ফল সবসময় সঠিক হয় না; তবে ২২ বছর ধরে গুজরাটের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি পুনরায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বলে আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। ১৮ ডিসেম্বর ভোট গণনা শুরু হবে, সেদিনই ফল ঘোষণার কথা। নিজের রাজ্যে দলের ক্ষমতা একচ্ছত্র করতে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারাভিযানে খোদ মোদীই নেতৃত্ব দিয়েছেন। গুজরাটের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে ভোটও চেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা গেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিও বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। জরিপের ফল সঠিক হলে কেন্দ্রে ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবার ২০১২-র চেয়েও বেশি ব্যবধানে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে যাচ্ছে। সেবারের নির্বাচনে রাজ্যের ১১৫টি আসনে বিজয়ী হয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া মোদী ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাটের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ গুজরাটকে ভারতের অন্যতম ধনী ও বিকাশমান অর্থনীতির রাজ্য বিবেচনা করা হয়। রাজ্যটিতে সা¤প্রদায়িক বিভেদের মাত্রাও ভারতের অন্য এলাকাগুলোর চেয়ে বেশি। মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ২০০২ সালে সংঘটিত এক রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় গুজরাটে হাজারের কাছাকাছি লোক মারা পড়েছিল; নিহতদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান। দাঙ্গার পেছনে মোদীর ইন্ধন ছিল বলে সমালোচকরা অভিযোগ করলেও সুপ্রিম কোর্টের তদন্তে তার প্রমাণ মেলেনি। মোদি নিজেও ওই ঘটনায় কোনো ধরণের ‘অন্যায়’ করার কথা অস্বীকার করে আসছেন। সোমবার গুজরাটের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেরও ফল ঘোষণা হওয়ার কথা; ৯ নভেম্বরের ভোটে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করতে যাচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বুথফেরত জরিপগুলো বলছে, হিমাচল বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি অন্তত ৪৭টিতে জয়ী হতে যাচ্ছে। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।