দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ
| প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম
সেলিম আহমেদ, সাভার : ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নতুন রুপে সাজানো হয়েছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধকে। দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে জাতি অপেক্ষা করছে বিজয়ের শুভলগ্নে। বিজয়ের এই ৪৭তম বর্ষপূর্তীতে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ-দিনটিতে সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো জনতার। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদি।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের প্রায় দেড় মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে এক নতুন রুপ ধারন করেছে সৌধ প্রাঙ্গণ। নানা রঙ্গের বাহারী ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রং-তুলির আচড়। গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দিনটিকে সামনে রেখে যাবতীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এবার স্মৃতিসৌধ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার সকল কাজ শেষ হলেও লেকের পানি পরিস্কার করার জন্য বিøচিং পাওডার দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দিনটির প্রথম প্রহরেই প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেধীতে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যাবতীয় গার্ড অব অনার এর মহড়া শেষ হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এপ্রসঙ্গে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলা হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারী বাড়নোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধের আশপাশের চলাচলকারীদের তল্লাশী করা হবে। আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ২৬টি এলইডি বসানো হবে। সেখানে ১৫ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন প্রামান্যচিত্র দেখানো হবে।
এছাড়া সাভার মডেল থানার কন্ট্রোল রুমে বসে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্য পর্যবেক্ষণ করা হবে। আগামী কাল ১৬ই ডিসেম্বর সকালে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী জাতীর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জানানোর পর জনসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
.jpg)
