নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিজের প্রতিদ্ব›দ্বী নিজেই
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে অপরাজিত শতক হাকিয়েছিলেন খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে। গতকাল ফাইনালেও ক্রিস গেইল চালালেন ব্যাটিং তান্ডব। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দানবীয় এক ইনিংস খেললেন তিনি। ৬৯ বলে ১৪৬ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে মারলেন ১৮টি ছক্কা। সঙ্গে ছিল পাঁচটি চারের মারও। রংপুর রাইডার্সের এই ব্যাটসম্যান ভেঙে ফেললেন ছক্কার সব রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফেরিওয়ালা গেইল কাল নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন। গড়লেন নতুন রেকর্ড। কালকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত যে কোনো টুর্নামেন্টে এক ম্যাচে গেইলের সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১৭টি। ২০১৩ সালে আইপিএলে তিনি নিজের অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংসের পথে ১৭ ছক্কা হাকিঁয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই রেকর্ডই ভাঙলেন ঢাকার বিপক্ষে এবারের বিপিএলের ফাইনালে ১৮ ছক্কা মেরে।
টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইল মাঠে থাকা মানেই ছয়-চারের ফুল ঝুড়ি ছোটা। তার উইকেটে থাকা মানেই দর্শকদের মধ্যে বাড়তি রোমাঞ্চ।
কাল হয়তো গেইল নিজেও জানতেন তার সামনে রয়েছে রেকর্ড গড়ার হাতছানি। তাই হয়তো সাকিবের করা ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে বল বাউন্ডারির কাছে গেলেও কোন সিঙ্গেল নেননি। উল্টো শেষ বলে সাকিবকে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মাইলফলক গড়েন এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। এই সেঞ্চুরি নিয়ে বিপিএলে গেইলের মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা হল পাঁচটি। আর টুর্নামেন্টের পাঁচ আসর খেলে তিনি ছয় মারলেন ১১৮টি। গেইল বিশ্ব ক্রিকেটের সব আসর মিলিয়ে মোট ৮১৯টি ছক্কা মেরেছেন। যা শুধু রেকর্ডই নয়, মাইলফলকও।
টি-টোয়েন্টিতে এটি গেইলের ২০তম সেঞ্চুরি। যেখানে সাতটির বেশি সেঞ্চুরি নেই অন্য কারো। রেকর্ড এখানেই থেমে থাকেনি। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গেইল ছুঁয়েছেন ১১ হাজার টি-টোয়েন্টি রান। ৯ হাজার রানও করতে পারেননি অন্য কোন ব্যাটসম্যান।
তিনিই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি বিপিএলে করলেন ছক্কার সেঞ্চুরি। ২৬ ইনিংসে তার ছক্কা এখন ১০৭ টি। ৫৪ ইনিংসে ৪৭ ছক্কায় তার পরের স্থানেই আছেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান। এই নিয়ে এক ইনিংসে দশটি বা তার বেশি ছক্কা ১৫বার মারলেন গেইল। ১০ ছক্কা দু’বারের বেশি মারতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। বিপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসেও নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন গেইল। এক ম্যাচ আগে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংস ছাড়িয়ে গেলেন কাল ফাইনালে অপরাজিত ১৪৬ রান করে। বিপিএলের পাঁচ আসরের ফাইনালে এই প্রথম সেঞ্চুরি করলেন কোনো ব্যাটসম্যান। যেটি গেইল। মাত্র ২৬ ইনিংস খেলে বিপিএলে হাজার রানের রেকর্ড গড়লেন গেইল। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ৯টি ফাইনাল খেলে গেইল করতে পেরেছিলেন মাত্র দু’টি ফিফটি। দশম ফাইনালে এসে করলেন প্রথম সেঞ্চুরি। তার দানবীয় ব্যাটিং কখনো ভুলতে পারবেন না বাংলাদেশ তথা বিশ্ব ক্রিকেট ভক্তরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।