Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গাজায় আবারো ট্যাঙ্ক-বিমান হামলা

ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে বিক্ষোভ অব্যাহত

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিতর্কিত পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কঠোর সমালোচনার ঝড় বইছে
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকার হামাসের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে ট্যাঙ্ক ও বিমান হামলা চালিয়েছে। গত সোমবার ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনীদের রকেট হামলার পর তারা পাল্টা এ হামলা চালায়। খবরে বলা হয়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের বেইত লাহিয়া শহরে একটি আবাদি জমির ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ হামলা হয়। ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র ও মেডিক্যাল সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি খবরটি জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি এক নিরাপত্তা সূত্র বলেন, গাজা সীমান্তে স্থাপিত সরঞ্জামাদি থেকে বেইত লাহিয়ার আবাদি জমি লক্ষ্য করে ওই গোলা-বারুদ হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের মেডিক্যাল সূত্রকে উদ্ধৃত করে আনাদোলু জানিয়েছে, হামলায় কেউ আহত হয়নি। গত সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অভিচাই আদারি এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে রকেট হামলা প্রতিহত করেছে ইসরাইলের আয়রন ডোম (বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা)। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থানস্থলে ট্যাংক ও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এশকোল রিজিওনাল কাউন্সিল এর একটি উন্মুক্ত এলাকায় রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যা ঘটছে তার জন্য হামাস দায়ী।’ শুক্রবার গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও আহত হয়েছে ১৫ জন। ইসরাইলী বাহিনী জানায়, গাজা উপত্যকা থেকে কমপক্ষে দু’টি রকেট ছোড়া হয় এবং এর দ্বিতীয়টি ইসরাইলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করে। প্রথম দফা রকেট হামলার পর সামরিক বাহিনী বিবৃতি জারি করে এর জবাব দেয়ার কথা জানায়। এরপরই গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের সামরিক চৌকিগুলো লক্ষ্যকরে ইসরাইলি বাহিনী ট্যাঙ্ক ও বিমান হামলা চালায়। প্রথম দফার রকেট হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা সেব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। গাজা থেকেও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। অপর দিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে বিতর্কিত এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কঠোর সমালোচনার ঝড় বইছে। ট্রাম্পের এ স্বীকৃতির প্রতিবাদে লেবাননে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়ে যখন বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাত করে ‘সম্ভাব্য শান্তি প্রতিষ্ঠার’ ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় নেতানিয়াহু আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল বা অধিকাংশ দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করবে বলে তিনি আশা করেন। এদিকে কায়রোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘অস্থিতিশীলতামূলক’ হিসেবে অভিহিত করে এর কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থবির ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহবান জানান। এদিন সন্ধ্যায় আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর পুতিন বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণা শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘ব্যাহত’ করতে পারে। যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি ও পুতিন একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছেন। এ ক্ষেত্রে উত্তেজনা আরো উস্কে দেয়া অব্যাহত রাখায় ইসরাইলকে অভিযুক্ত করা হয়। ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পরিণতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তব্য দেন এরদোগান। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ