মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানিতে মৌলবাদী সালাফিস্ট মতাদর্শের অনুগামীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন দেশের গুপ্তচর বিভাগের প্রধান। সালাফিস্ট মতাদর্শ থেকে ইসলামপন্থি সন্ত্রাস জন্ম নেয়, বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।
জার্মানিতে সালাফিস্টদের সংখ্যা আগে কখনো এত বেশি ছিল না বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর বিভাগের প্রধান হান্স-গেয়র্গ মাসেন।
মৌলবাদী ইসলামপন্থি মতাদর্শের অনুগামীদের সংখ্যা ‘চিরকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে,’ বলে মাসেন গত রবিবার মন্তব্য করেন। জার্মান গুপ্তচর বিভাগ বিএফভি-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জার্মানিতে সালাফিস্টদের সংখ্যা ছিল ৯,৭০০, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বেড়ে ১০,৮০০-য় দাঁড়ায়। মাসেন আরো জানান যে, সালাফিস্টরা ছোট ছোট গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে ব্যক্তিগত ও গোপনীয় পর্যায়ে পশ্চাদপসারণ করার ফলে কর্তৃপক্ষের পক্ষে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।
বিএফভি জানিয়েছে যে, সালাফিস্ট আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা এখন জনপথ ও মসজিদ ছেড়ে ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকেছে। ইন্টারনেটে ছোট ছোট গোপনীয় গোষ্ঠীর মাধ্যমে নবাগতদের মৌলবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চলেছে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের নেটওয়ার্ক ক্রমাগত বেড়ে চলায় কর্তৃপক্ষ আরেকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, কেননা ইন্টারনেটে মহিলাচক্রগুলির মূল্যায়ন করা খুবই সমস্যাকর।
নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে সালাফিস্ট আন্দোলন তরুণ মুসলিমদের জন্য ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদে উত্তরণের পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে।
জার্মান সালাফিস্টরা অতীতে একটি চোখে পড়ার মতো পথ-প্রচারণার আয়োজন করেছিল: বাজারে ও চত্বরে স্ট্যান্ড খুলে সেখানে পবিত্র কোরানের জার্মান অনুবাদ বিলি করা হচ্ছিল। কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘‘লিস!’’ বা ‘‘পড়ো!’’ লালশালুতে যা লেখা থাকত। গতবছর জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের সালাফিস্টদের সদস্য সংগ্রহের এই অভিযানকে সংবিধান বিরোধী হিসেবে নিষিদ্ধ করেন।
‘অভিজ্ঞ যোদ্ধা’
মাসেন আরো বলেন যে, উত্তর ককেশাস অঞ্চল থেকে আগত ইসলামপন্থিরা জার্মানিতে নিরাপত্তার পক্ষে একটি বিশেষ ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চেচনিয়া, দাগেস্তান বা ইঙ্গুশেসিয়ার মতো গণরাজ্য থেকে আগত প্রায় ৫০০ চরমপন্থি জার্মানিতে অবস্থান করছে, বলে অনুমান করা হয়ে থাকে। ‘‘সহিংসতা, মার্শিয়াল আর্টস ও আগ্নেয়াস্ত্রের প্রতি উত্তর ককেশাসের বহু ইসলামপন্থির বিশেষ প্রীতির কারণে বিষয়টির প্রতি জার্মান নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত,’’ বলে মাসেন মন্তব্য করেন। মাসেন বলেন যে, উত্তর ককেশাস থেকে আগত ইসলামপন্থিদের অনেকের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে, কেননা তারা শুধু চেচনিয়া সংঘাতেই নয়, সিরিয়া ও ইরাকের বর্তমান সংঘাতগুলিতেও অংশগ্রহণ করেছে। উত্তর ককেশাস থেকে আগত ইসলামপন্থিরা প্রধানত ব্রান্ডেনবুর্গ ও বার্লিনের মতো পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেই আস্তানা গেড়েছে, বলে বিএফভি জানিয়েছে; তবে নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া, হামবুর্গ বা ব্রেমেনের মতো পশ্চিমের রাজ্যগুলিতেও তাদের ‘হট স্পট’ রয়েছে। সূত্র : ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।