Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টেডি!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নব্বইয়ের দশকে ম্যানইউর ১০ নম্বর জার্সিতে পড়ে মাঠ দাপানো স্ট্রাইকার টেডি শেরিংহ্যামকে গতকাল দেখা গেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি বক্সে। সাইফ স্পোটিং ক্লাবের হয়ে খেলা তাঁর ছেলে চার্লি শেরিংহ্যামের খেলা দেখতে তিনি কাল কোলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন। এদিন সন্ধ্যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলে সাইফ স্পোটিং। মুলত ছেলের খেলা দেখতেই বাংলাদেশে আসেন সাবেক এই ইংলিশ তারকা ফুটবলার। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি বক্সে হঠাৎ করেই টেডি শেরিংহ্যামকে আবিষ্কার করেন সাংবাদিকরা। তার সঙ্গে কথা বলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা। দৃশ্যটি নিজ স্ত্রীকে দেখাতেও ভুললেন না টেডি। মুঠোফোনে ভিডিও কল দিয়ে স্ত্রীকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন তার জন্য অপেক্ষমান সাংবাদিকদের। বঙ্গবন্ধুতে বসে খেলা দেখলেও বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে তেমন জানা নেই টেডির। যার ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার রয়েছে। সেই টেডি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের সদস্য, ইউরো কাপ, বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে অনেক কীর্তি রয়েছে টেডি শেরিংহ্যামের। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলেছেন ১৯৯৭ থেকে ২০০১ পর্যন্ত। ১০৪ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা ৩১। ইউনাইটেডের আগে ও পরে খেলেছেন টটেনহামে। সেখানে ২৩৬ ম্যাচে তাঁর গোল ছিল ৯৮টি। ১৯৯৩ থেকে ২০০২ পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন টেডি। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর ম্যাচের সংখ্যা ৫১টি এবং গোল ১১টি। বর্তমানে ভারতে চলমান ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) দল অ্যাথলেটিকো দ্য কোলকাতার কোচের দায়িত্ব পালন করছেন টেডি। যদিও তার অধীনে এখন পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি কোলকাতা।

বাবা টেডির তুলনায় ছেলে চার্লি অনেকটাই যেন অনুজাজাø। এতে অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই টেডির। তিনি বলেন, ‘চার্লি ওর মতো খেলছে। আমার আর ওর সময়টাও ভিন্ন।’ নিজের ক্যারিয়ারের সেরা গোল নিয়ে টেডির বক্তব্য, ‘মানুষ আমাকে মনে রেখেছে ১৯৯৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের গোলের জন্য। এজন্য ওই গোলটি আমিও এখনো মনে রেখেছি।’
বর্তমান সময়টাকে বেশ উপভোগ করছেন টেডি। কোচিং পেশা ভাল লাগছে বলে জানান। বাংলাদেশের কোনো ক্লাব প্রস্তাব দিলে কোচ হওয়ার বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে টেডির কথা, ‘ফুটবল বিশ্বে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। এক বছর আগে যদি কেউ বলত আমি কোলকাতার কোচ হব। তাহলে আমি না করতাম। কিন্তু বাস্তবে আমি এখন কোলকাতার কোচ। বাংলাদেশের কোনো দলের কোচ হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। ফুটবলে এটাই স্বাভাবিক।’ ম্যানচেস্টারে আলেক্স ফার্গুসনের মতো কোচের অধীনে খেলেছেন। তবে কাউকে এককভাবে প্রাধান্য দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘শুধু অ্যালেক্স নয়, আমার ক্যারিয়ারে অনেক ম্যানেজারের অধীনে খেলেছি। তাদের সবার কাছ থেকেই আমি শিখেছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ