পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাগর উত্তাল বন্দরে ৩ নং সঙ্কেত
বিশেষ সংবাবদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গতকাল (শুক্রবার) আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর সক্রিয় প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের অনেক এলাকায় আকাশ মেঘলা রয়েছে। বিরাজ করছে গুমোট আবহাওয়া।
কনকনে হিমেল হাওয়ার সাথে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে উঠেছে। সমুদ্র বন্দরে ৩নং সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূলভাগ থেকে সর্বশেষ সাড়ে ৭শ’ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। গতকাল রাতের শেষে অথবা আজ (শনিবার) এর মতিগতি স্পষ্ট হবে, এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে কিনা এবং ভারতে নাকি বাংলাদেশে, কোন দিকে ধাবিত হতে পারে। অথবা ক্রমেই দুর্বল হয়ে কেটে যেতে পারে কিনা। সচরাচর এখন ঘূর্ণিঝড়ের মওসুম নয়। অবশ্য গভীর নিম্নচাপটি কেটে গেলে শীতের পদধ্বনির সম্ভাবনা রয়েছে এমনটি জানান একজন আবহাওয়াবিদ।
গতকাল রাতে আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৮৫ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে গভীর নিম্নচাপের কারণে হিমেল হাওয়ার উপর ভর করে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রামসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে লোকজনকে গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে এবং হালকা ও গুঁড়িবৃষ্টির কারণে ছাতা মাথায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে। শীতের আমেজে সেই সাথে গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে ছুটির দিনে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল কিছুটা কম ছিল। হিমেল হাওয়ার সাথে অগ্রহায়ণ শেষের বৃষ্টিপাতে মৌসুমি বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বিশেষত বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।