নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আবারো লিওনেল মেসিকে হারিয়ে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ নিয়ে মেসির সমান পাঁচ বার এই খেতাবে ভুষিত হলেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
পরশু ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে এক জমকালো অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’। বিশ্বজুড়ে ১৭৩ জন সাংবাদিকদের ভোটে মেসি-নেইমারদের পিছনে ফেলে বর্ষসেরার মুকুট মাথায় তোলেন রোনালদো।
মৌসুম জুড়ে গোলসংখ্যায় এগিয়ে ছিলেন মেসি। কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যের পাশাপাশি দলীয় সাফল্য পাওয়ায় ফেভারিট ছিলেন রোনালদোই। এবারো যে মুকুট তার মাথায় উঠছে এটা তাই এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। এ বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জেতেন চারটি শিরোপা। এর মধ্যে আছে ছয় বছর পর জেতা লা লিগা ও টানা দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।
এই অর্জনের পথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নকআউট পর্বে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার পাশাপাশি কীর্তি গড়েন নকআউট পর্বে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার। ফাইনালে দুটিসহ সর্বোচ্চ ১২টি গোল করেন, যার ১০টিই ছিল নকআউট পর্বে। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গত মৌসুমে ১০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়েও দারুণ ছন্দে ছিলেন রোনালদো। আগামী বছর হতে যাওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপে দলকে তুলতে বাছাইপর্বে শেষ ছয় ম্যাচে করেন একটি হ্যাটট্রিকসহ আটটি গোল।
২০০৮ সালে প্রথমবার ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছিলেন রোনালদো। দুটি পুরস্কার একীভূত হওয়ার পর ২০১৩ ও ২০১৪ সালের জেতেন ফিফা ব্যালন ডি’অর। দুটি পুরস্কার আলাদা হয়ে যাওয়ার পর গত বছর ব্যালন ডি’অর ও দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
তবে এখানেই থামতে চান না রোনালদো। ভবিষ্যতেও ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াই মেসির সঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই পর্যায়ে আরও অনেক বছর খেলার আশা করি। আশা করি, মেসির সঙ্গে এই লড়াই চলবে।’ ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সাতটি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার চাই এবং সাত সন্তান। রিয়াল মাদ্রিদে আমি সুখে আছি। আমি এখানেই থাকতে চাই। সম্ভব হলে রিয়াল মাদ্রিদেই আমি আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই।’
একসময় এই পুরষ্কারের দাবিদার নেইমার হবেন বলেও আশা করেন ৩২ বছর বয়সী, ‘নেইমারের অনেক প্রতিভা ও সম্ভাবনা আছে। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে এই পুরস্কার জয়ের সুযোগ সে পাবে।’
ব্যালন ডি অর ২০১৭-এর সেরা দশ
ক্রম. খেলোয়াড় দল
১ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ, পর্তুগাল
২ লিওনেল মেসি বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা
৩ নেইমার পিএসজি, ব্রাজিল
৪ জানলুইজি বুফন জুভেন্টাস, ইতালি
৫ লুকা মদ্রিচ রিয়াল মাদ্রিদ, ক্রোয়েশিয়া
৬ সার্জিও রামোস রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন
৭ কিলিয়ান এমবাপে পিএসজি, ফ্রান্স
৮ এনগোলো কঁতে চেলসি, ফ্রান্স
৯ রবের্ত লেভানদোভস্কি বায়ার্ন মিউনিখ, পোল্যান্ড
১০ হ্যারি কেইন টটেনহ্যাম, ইংল্যান্ড
ব্যালন ডি’অর
২০০৮ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
২০০৯ লিওনেল মেসি
একীভূত ফিফা ব্যালন ডি’অর
২০১০ লিওনেল মেসি
২০১১ লিওনেল মেসি
২০১২ লিওনেল মেসি
২০১৩ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
২০১৪ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
২০১৫ লিওনেল মেসি
ব্যালন ডি’অর
২০১৬ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
২০১৭ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।