পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিহত সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহর মৃতদেহ হস্তান্তর দাবিতে রাজধানী সানায় একটি হাসপাতালের সামনে সালেহ সমর্থক কিছু লোকের বিক্ষোভ হুতি বিদ্রোহীরা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
তারা দাফনের আগে জানাজা পড়ার জন্য সালেহর লাশ চাইছিল। সোমবার সাবেক মিত্র ইরান সমর্থিত হুতিদের হাতে নিহত সালেহর লাশ ঐ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে। হুতি বিদ্রোহীরা নির্মমভাবে লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে বোরকা আবৃত মহিলাদের ‘জনগণ শহীদের লাশ চায়’ বলে সেøাগান দিতে দেখা যায়।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় তাদের পিছনে গুলির শব্দ শোনা যায়। ইয়েমেনকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শাসনকারী সালেহ ২০১২ সালে এক গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১৪ সালে সালেহর বাহিনী সানা দখল করতে হুতি বিদ্রোহীদের সাহায্য করে। ২০১৫ সালে হুতিরা প্রেসিডেন্ট আবদরাব্বু মনসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করলে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট তাকে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। এ সময় সালে হুতিদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সউদী নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি হুতিদের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
কিন্তু সম্প্রতি দু’পক্ষই রাজধানীর দখল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। গত শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে হুতিদের সাথে সম্পর্ক ছেদ করেন। সোমবার হুতি বিদ্রোহীরা সানার বাইরে একটি চেক পয়েন্টের কাছে সালেহর গাড়িতে আরপিজির হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। তিনি সউদী আরব পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে হুতিরা দাবি করেছে। তার হত্যার পর তার অনুসারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে।
এদিকে সালেহর হত্যার পর তার ছেলে আহমেদ পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেয়ার শপথ ব্যক্ত করেছেন। এক খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার সউদী টিভি আল এখবারিয়া থেকে প্রচারিত খবরে বলা হয়, তিনি হুতিদের কাছ খেকে ইয়েমেনকে ছিনিয়ে নেয়া জন্য তার পিতার সমর্থকদের প্রতি আহবান জানান। বিরুদ্ধে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট তাকে সমর্থন দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে সউদী জোটের সমর্থনে ইয়েমেনের সরকারী বাহিনী বুধবার লোহিত সাগরের তীরবর্তী খুকা অঞ্চল দখল করেছ। হুতি মিলিশিয়াদের সাথে প্রচন্ড লড়াইয়ের পর খুকা দখল করা হয়। এটিকে হুতিদের জন্য বিপর্যয় ও সালেহ হত্যার পর সরকারী বাহিনীর বড় ধরনের বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে এর ফলে হুতিদের জন্য ইরানি অস্ত্র সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।