Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নাইকোর আপিল শুনানি তৃতীয়বারের মতো মুলতবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৫ এএম

কানাডা ভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি নাইকো রিসোর্সের সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার যৌথ অংশীদারিত্ব চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আবার মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
এর আগেও এ বিষয়ে দুই দফা শুনানি মুলতবি করে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নাইকোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম।
নাইকোর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ও পেট্রোবাংলার করা দুটি চুক্তি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নাইকোর বাংলাদেশের সব সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। গ্যাসকূপের বিস্ফোরণে সরকারকে ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত নাইকোর বকেয়া (অর্থ) টাকা পরিশোধ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনে দেওয়া রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের বিষয়ে আপিলে যায় নাইকো।
জানা গেছে, বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলা দুটি চুক্তি করে। এর মধ্যে একটি ছিল বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি। গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে অন্য চুক্তি হয়েছিল।
কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম ওই দুই চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছর মে মাসে জনস্বার্থে এক রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি। দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে।
এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি নাইকো। ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ আদায়ের মামলা নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। এ কারণে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দ করা প্রয়োজন বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এরপর রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি করে চুক্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সঙ্গে চুক্তি দুটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং নাইকো কানাডা ও নাইকো বাংলাদেশকে তার জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের ওপর শুনানি ২৪ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট, যাতে চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে নাইকোর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাইকোর আপিল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ