নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের বিপিএলে বোলিংয়ে শুরু থেকেই ধারাবাহিক সাকিব আল হাসান। ১৯ উইকেট নিয়ে এবারের আসরের সেরা বোলার তিনিই। কিন্তু ব্যাটসম্যান সাকিবকে সেভাবে চোখে পড়ছিল না। অবশেষে দেখা মিলল ‘নাম্বার ওয়ান’ অলরাউন্ডার সাকিবের। তাও আবার দলের সংকটময় অবস্থায়। মাত্র ৪৮ রানে ঢাকা ডায়নামাইটসের নেই ৫ উইকেট। শুধু অর্ধেক ব্যাটসম্যান নয়, তারকাবহুল দলটি তখন খরচ করে ফেলেছে প্রায় ইনিংসের অর্ধেক ওভারও। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন সাকিব। গতকাল সাতে নামা আইকন অধিনায়কের ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে রংপুর রাইডার্সকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিতে পারল ঢাকা। পরে বোলিং আর নেতৃত্বেও দেখা দিলেন দুর্দান্ত সাকিব। ফলে ৭ উইকেটে ৯৪ রানের বেশি তুলতেই শেষ ইনিংস। ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে টেবিলের দুই নাম্বার স্থানটি দখলে নিল ঢাকা। দুইয়ে থাকায় ফাইনালে ওঠার অন্তত দুটি সুযোগ পাবে ঢাকা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে তারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। এলিমিনেটর ম্যাচে খেলবে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইটান্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এক নম্বর জায়গাটি নিশ্চিত করেছে গতকাল সিলেট ম্যাচের আগেই।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকার ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। রুবেলের বাউন্সারে আউট হয়েছেন সুনিল নারাইন, এবাদত হোসেনের শর্ট বলে জহুরুল। মোসাদ্দেক ব্যর্থ আবারও। রানের জন্য হাঁসফাঁস করে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন জো ডেনলি। প্রায় ১০ ওভার উইকেটে থেকে এভিন লুইস ১৮ বলে ১৪ করে হিট উইকেট হয়েছেন নাহিদুলের অফ স্পিনে। দলের বিপদে হাল ধরলেন অধিনায়ক সাকিব। শুরুটা তাই একটু দেখে-শুনেই করতে হলো তাকে। আবার রানের চাকা সচল রাখার তাগিদও ছিল। শেষ পর্যন্ত দুটি করে চার-ছক্কা মেরেছেন। মারুফও বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন সাকিবকে। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটি ৫৫ রানের। ১৩ ওভার শেষে মাত্র ৬১ রান তোলা ঢাকা তাই লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে। শেষ ৭ ওভারে তুলেছে ৭৬ রান। সাকিবই করেছেন নিজের কাজ। দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৭।
পরে বোলার সাকিব পরে ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। এই উইকেটে ১৩৮ রান তাড়া সহজ নয়। প্রয়োজন ছিল নিয়ন্ত্রিত ও বৃদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। কিন্তু রংপুরের ব্যাটসমানরা নিজেদের কাজ করে তুললেন আরও কঠিন।
অ্যাডাম লাইথ ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ফিরলেন বাজে শটে। দেশের দুই ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস ও মোহাম্মদ মিঠুন দেখাতে পারলেন না আশার আলো। আশা হয়ে ছিলেন যিনি, সেই জনসন চার্লস (২৬) এলবিডবিøউ হলেন সংশয়পূর্ণ সিদ্ধান্তে। রংপুরের আশা শেষ এরপরই। লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন নাহিদুল। কিন্তু বোল্ড হলেন সুনিল নারাইনের এমন এক বলে, যেটি ছিল ¯্রফে গোড়ালি উচ্চতায়। রবি বোপারা শেষ পর্যন্ত থাকলেও দলকে দেখাতে পারেননি দিশা (৩০ বলে ২৮*)।
দারুণ ব্যাটিংয়ের পর ৪ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। দলকে সেরা দুইয়ে তোলার পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারে ঢাকা অধিনায়ক মাঠ ছাড়লেন হাসি মুখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ঢাকা ডায়নামাইটস : ২০ ওভারে ১৩৭/৭ (নারাইন ৪, লুইস ১৪, ডেনলি ৯, জহুরুল ৫, মোসাদ্দেক ৫, মারুফ ১০, সাকিব ৪৭*, পোলার্ড ৬, আমির ৩*; বদ্রি ১/১৮, রুবেল ২/৩২, নাহিদুল ১/১২, এবাদত ২/৩৭, রাজ্জাক ১/২৩, বোপারা ০/১২)।
রংপুর রাইডার্স : ২০ ওভারে ৯৪/৭ (চার্লস ২৬, লাইথ ৩, ম্যাককালাম ১, শাহরিয়ার ৭, মিঠুন ২, বোপারা ২৮*, নাহিদুল ১৩, রাজ্জাক ৫, বদ্রি ০* ; মোসাদ্দেক ১/১৩, সাকিব ২/১৩, নারাইন ১/১৮, আবু হায়দার ২/২৩, আমির ১/১৫, সাদমান ০/৬)।
ফল : ঢাকা ডায়নামাইটস ৪৩ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : সাকিব আল হাসান (ঢাকা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।