নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফের রহমতগঞ্জে পয়েন্ট খোঁয়ালো শিরোপা প্রত্যাশি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও শেখ জামাল ১-১ গোলে ড্র করে রহমতগঞ্জ এমএফএসের বিপক্ষে। রহমতগঞ্জের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সেসে গোল করে দলকে আনন্দে ভাসালে শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের গোলে মান বাঁচে দলের। এই ড্র’তে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থাকলো শেখ জামাল। সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জের অবস্থান নবমস্থানে। প্রথম লেগও দু’দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
কাল বড় বাঁচা বেঁচে গেছে শেখ জামাল। অল্পের জন্য হারের মুখ দেখতে হলো না তাদের। দূর্ভাগ্য রহমতগঞ্জের। ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো না তারা।
এ ম্যাচে জিতলেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটা দখল করতে পারতো শেখ জামাল। আগের দিন চট্টগ্রাম আবাহনী শেখ রাসেলের বিপক্ষে ড্র করায় সেই সুযোগটি ছিল জামালের সামনে। তাই রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শীর্ষে ওঠার স্বপ্নও দেখছিল তারা। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়ান জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জের দাউদা সেসে। ফলে তিন নয় ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় শেখ জামাল। গোল পাওয়ার মতো বেশ ক’টি আক্রমণ সানায় তারা। ৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে জাহেদ পারভেজের ফ্রি কিক কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডাররা। ২৬ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে জাহেদ পারভজের ফ্রি কিক বক্সে জটলার মধ্যে পেয়ে লফিয়ে উঠে হেড নেন ইয়াসিন। লক্ষ্যে বল পৌছাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে এগিয়ে যাবার আরো একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় ধানমন্ডির ক্লাবটির। যেখানে শেখ জামালের গোল পাওয়ার কথা ছিলো সেখানে পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল আদায় করে নিয়ে উল্টো ম্যাচে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ২৭ মিনিটে শেখ জামালের ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানের ভুল পাসে বল পেয়ে দুরন্ত গতিতে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের দারুণ শটে গোল করেন রহমতগঞ্জের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাউদা সেসে (১-০)। ৪৩ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বক্সে ফরোয়ার্ড পাস বাড়িয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে থ্রু ইনের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত দলকে বাঁচিয়ে দেন শ্যমল মিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে গোল শোধের চেষ্টা করেও পারছিল না শেখ জামাল। হারের শংকায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে কোচ মাহবুব হোসেন রক্সির কপালে। তবে কোচের সেই শংকা দূর করেন সলোমন কিং। ৮৭ মিনিটে ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। বক্সের বাইরে থেকে দুর পাল্লার শটে গোল করেন সলোমন (১-১)। তবে এরপরেই খেলোয়াড়দের শারীরিক পরিভাষা বদলে যায়। হাতাহাতিতেও লিপ্ত হন দু’দলের ফুটবলাররা। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল হয়নি। ফলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জ।
একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডান ২-০ গোলে হারায় ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার পঞ্চমস্থানে উঠে আসলো মোহামেডান। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালানীতেই রইলো ফরাশগঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।