নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক প্রথম দিবা-রাত্রির অ্যাশেজ জিততে শেষদিনে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ১৭৮ রান। আর স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৬ উইকেট। এমন স্কোরলাইন দেখে আশাবাদী হতে পারে যে কোন দল। তবে ইংলিশদের জন্য ভয়ের খবর হলো, জিততে হলে তাদেরকে গড়তে হবে নিজেদের সফল রান তাড়ার নতুন রেকর্ড।
৩৩২ রান চেস করে জয়ের রেকর্ড আছে ইংল্যান্ডে। অ্যাডিলেডেও এ যাবৎ সর্বোচ্চ ৩১৬ তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে। এবার তাদের সামনে লক্ষ্য ৩৫৪ রানের। অর্ধেক পথ পাড়ি দেওয়ার আগেই তারা হারিযেছে শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানকে। আশার প্রতীক হয়ে আছেন কেবল জো রুট। ইংলিশ দলপতি ব্যাট করছেন ৬৭* রান নিয়ে। সঙ্গে আছেন নাইটওয়াচ ম্যান হিসেবে নামা ক্রিস ওকস (৫*)।
এর আগে বল হাতে সিরিজে প্রথমবারের মত জ্বলে ওঠেন অ্যান্ডারসন-ওকসরা। ৪ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এদিন গুটিয়ে যায় প্রথম সেশনেই, মাত্র ১৩৮ রানে। আট ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও তাতে পঁচিশোর্ধো ইনিংস নেই একটিও। সর্বোচ্চ ২০ রান করে করেন উসমান খাজা ও টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান পেসার মিচেল স্টার্ক।
সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৪৩ রানে এই অভিজ্ঞ পেসার তুলে নেন ৫ উইকেট। এই নিয়ে ১৩১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৫তমবারের মত ৫ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন অ্যান্ডারসন। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩০ ইনিংসে এই প্রথম নিলেন ৫ উইকেট। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ওকস। উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪৪২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
৩৫৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই ছিলো ইংল্যান্ডের। উদ্বোধণী জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন দুই ওপেনার সাবেক অধিনায়ক অ্যালিষ্টার কুক ও মার্ক স্টোনম্যান। তবে ৯৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে যায় রুট বাহিনী। শুরুটা করেন নাথান লায়ন, জোড়া আঘাত হানেন স্টার্ক। এরপর ৭৮ রানের জুটিতে ম্যাচের রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনে রুট-মালানের ৭৮ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙতে স্টিভেন স্মিথকে হারাতে হয়েছে দুটি ডিআরএস-ই।
অ্যালিস্টার কুক (১৬), মার্ক স্টোনম্যান (৩৬) ও জেমস ভিন্সরা (১৫) ভালো শুরু করেও ইনিংসটা টেনে লম্বা করতে পারেননি। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৬ রান। শেষ রাতে মালান (২৯) বিদায় না নিলে ইংলিশদের পক্ষে বাজি রাখা যেত। সিরিজে ১-১ সমতা আনতে এখনো যেতে হবে অনেকদুর। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিতে হবে রুটকেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অস্ট্রেলিয়া : ৪৪২/৮ডি. ও ৫৮ ওভারে ১৩৮ ওভার (খাজা ২০, স্টার্ক ২০, অ্যান্ডারসন ৫/৪৩, ওকস ৪/৩৬)।
ইংল্যান্ড : ২২৭ ও ৬২ ওভারে ১৭৬/৪ (রুট ৬৭*, স্টোনম্যান ৩৬, স্টার্ক ২/৬৫, লায়ন ১/৩৭, কামিন্স ১/২৯)।
*শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ১৭৮ রান, অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।